খেলাধুলা

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডকে ঘিরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দ্বিমুখী নীতি

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সফরের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য কঠোর কোয়ারেন্টাইন নীতি দিয়ে বসে সেই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও ক্রিকেট বোর্ড। শেষ পর্যন্ত কোয়েরেন্টাইন নীতিমালার সঙ্গে আপোষ করতে না পেরে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া হয়নি টাইগারদের। অথচ এই শ্রীলঙ্কাই জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য কোয়ারেন্টাইন নীতিমালাতে এনেছে শিথিলতা। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দুই দেশের জন্য করোনা প্রোটোকলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করছে।

আগামী জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ ঠিক করেছে শ্রীলঙ্কা। গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জৈব সুরক্ষিত বলয় তৈরি করে হবে খেলা।

বাংলাদেশের জন্য চৌদ্দ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ইংল্যান্ড দলকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না বলে জানিয়েছে তারা। বরং ইংল্যান্ড থেকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করে গেলেই হবে বলে জানিয়েছে তারা।

এমনকি শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ইংল্যান্ড শিবির চাইলেই নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে পারবে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা। অথচ বাংলাদেশের জন্য অনুশীলন ম্যাচ দূরে থাক হোটেল থেকে বেরুনো যাবে না, এমনটাই জানিয়েছিল লঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ সফরে এক মাস আগে যেতে হলেও ইংল্যান্ড যাবে মাত্র ১১ দিন আগে।

ইংল্যান্ড সফর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা বলেন, ‘জানুয়ারির ৩ তারিখের দিকে ইংল্যান্ড দল আসবে। প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১৪ তারিখ। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৩ তারিখ।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘দেশ থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করে এসে সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করবে ইংল্যান্ড। চার্টাড ফ্লাইটে আসার পর সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশের আগে সবার পিসিআর টেস্ট করা হবে। এরপর তারা চাইলে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচও খেলতে পারবে। তবে শ্রীলঙ্কান কোনো দলের সঙ্গে খেলা সম্ভব নয়।’

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত মার্চেই। সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কাতেও গিয়েছিল জো রুটের দল। কিন্তু, ওইসময়ই করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে সিরিজ না খেলে দেশে ফিরে যান তারা।