খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কার দ্বিমুখী নীতি নিয়ে অভিযোগ নেই বিসিবির

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য কঠোর কোয়ারেন্টাইন নীতি ছিল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও কোভিড টাস্কফোর্সের। অথচ এই শ্রীলঙ্কাই জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য কোয়ারেন্টাইন নীতি করেছে শিথিল। বাংলাদেশের জন্য এক ব্যবস্থা, আর ইংল্যান্ডের জন্য আরেক ব্যবস্থায় বিস্মিত অনেকে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোনও অভিযোগ নেই। 

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দুই দেশের জন্য করোনা প্রটোকলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দ্বিমুখী নীতি নিয়ে বিসিবি বলছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই কোয়ারেন্টাইন নীতিমালায় এসেছে পরিবর্তন। 

তিন টেস্ট খেলতে অক্টোবরে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য রাজি হয়েছিল দুই বোর্ডই। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী দ্বারা গঠিত কোভিড টাস্কফোর্সের বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দ্বীপরাষ্ট্রে পা রাখার পর হোটেল রুমে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ সময়ে পর পর তিন বার করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ হলে মাঠে নামার অনুমতি পাবেন ক্রিকেটাররা। 

কঠিন এ শর্ত মেনে ক্রিকেট খেলা অসম্ভব বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এজন্য দলকে শ্রীলঙ্কাও পাঠাননি। অথচ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। নিজেদের দেশ থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করে গেলেই হবে। শ্রীলঙ্কায় পৌঁছার পর অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচেও নামতে পারবে। বাংলাদেশকে সফরের এক মাস আগে যাওয়ার কথা থাকলেও ইংল্যান্ড যাবে মাত্র ১১ দিন আগে।

শ্রীলঙ্কা সরকারের এমন কোয়ারেন্টাইন নীতি ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে দেওয়া সুযোগ সুবিধায় প্রশ্ন উঠছে অনেক। তবে বিসিবি এসব নিয়ে ভাবছে না। মিরপুরে বুধবার প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এই বিষয়টি (দ্বিমুখী নীতি) এভাবে দেখলে হবে না। আপনারা যদি বিষয়টি খেয়াল করেন, প্রত্যেকটা দেশে সবসময় একই রকম কোভিড পরিস্থিতি থাকে না। আমরা যখন যেতে চেয়েছিলাম, তখনকার চেয়ে হয়তো এখন কোভিড পরিস্থিতি উন্নতি করেছে বা তাদের পরিকল্পনায় বদল এনেছে। তার প্রেক্ষিতেই হয়তো ইংল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।’

শ্রীলঙ্কা বোর্ডের চেষ্টার কথা জানিয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা যখন যেতে চেয়েছিলাম, তখন কিন্তু তাদের বোর্ড সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই ছিল। কিছু কারণে হয়তো তারা সরকারকে বোঝাতে পারেনি। এখন হয়তো পরিস্থিতি তাদের পক্ষে থাকার কারণে তারা নীতিমালা শিথিল করতে পেরেছে।’