খেলাধুলা

১৬তম জন্মদিনের পরের দিন মোকোকোর ইতিহাস

শুক্রবার ছিল ইউসুফা মোকোকোর ১৬তম জন্মদিন। পরের দিন শনিবার জার্মান ফুটবলে ইতিহাস লিখলেন। হার্থা বার্লিনের বিপক্ষে মাঠে নেমে বুন্দেসলিগার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড।

হার্থার বিপক্ষে ডর্টমুন্ডের ৪-৩ গোলের জয়ে ৮৫তম মিনিটে মাঠে নামেন মোকোকো। ২০০৫ সাল থেকে এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন ডর্টমুন্ডেরই আরেক খেলোয়াড় নুরি শাহীন। ১৬ বছর ১১ মাস বয়সে বুন্দেসলিগায় অভিষেক হয়েছিল তার। মোকোকো সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১৬ বছর ১ দিনে।

জার্মান দল এই মৌসুমে তাদের বুন্দেসলিগা দলে মোকোকোকে বাছাই করেন। কিন্তু ন্যূনতম বয়স ১৬ হতে হবে, দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এই নিয়মের কারণে সিনিয়র দলে অভিষেকের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে ডর্টমুন্ডকে। আগস্ট থেকে সিনিয়র দলের সঙ্গে অনুশীলন করছিলেন এই ক্যামেরুনিয়ান ফরোয়ার্ড।

ডর্টমুন্ডের যুব র‌্যাংক দলের হয়ে ৮৪ ম্যাচ খেলে মোকোকো ১২৭ গোল করেছেন এবং অ্যাসিস্ট ২৬টি। বার্লিনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্দের বদলি হয়ে শনিবার বুন্দেসলিগায় অভিষেক হয় তার। নতুন সতীর্থকে নিয়ে হালান্দ বলেছেন, ‘বিশ্বে ঠিক এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রতিভা সে। আমার বয়স ২০ পেরিয়ে গেছে, আমি এখন বুড়ো হয়ে যাচ্ছি।’

মোকোকোর সঙ্গে ট্রেনিংয়ের অভিজ্ঞতাও জানালেন এই ডাচ তারকা, ‘মোকোকোর বয়সে আমি যেমন ছিলাম, তার চেয়েও ভালো সে। তার জন্য বড় সুবিধা হলো, ১৫ বছর বয়সে সে ডর্টমুন্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আর আমি তার এই বয়সে আমার ঘরের ক্লাব ব্রাইনে খেলছিলাম।’