খেলাধুলা

ম্যারাডোনার ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: শিল্টন 

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী চলছে স্মৃতিচারণ। ব্যতিক্রম নন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিটার শিল্টন। যার বিরুদ্ধে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। যেটাকে পরবর্তীতে শৈল্পিক রূপ দেওয়া হয়েছিল ‘হ্যান্ড অব গড’ হিসেবে। বিষয়টিতে যারপরনাই বিরক্ত ছিলেন শিল্টন। 

ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর তার জন্য ব্যথিত হয়েছেন শিল্টন। তাকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবেও মেনে নিয়েছেন। তবে হ্যান্ড অব গডের বিষয়টি নিয়ে তার সমালোচনা করেছেন ইংলিশ এই সাবেক গোলরক্ষক। তার মতে এই ঘটনাটির জন্য ম্যারাডোনার ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।

শিল্টন বলেছেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমি কয়েক বছর বেশ বিরক্ত ছিলাম। আমি এখনও মিথ্যে বলবো না। মানুষ বলে আমি বলটি ক্লিয়ার করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার চেয়ে অনেক খাটো একজন মানুষকে সুযোগ দিয়েছি আমার ওপর দিয়ে লাফ দিয়ে গোল করার। পুরোটাই বাজে কথা। ম্যারাডোনা আমাকে পরাস্ত করার মতো গতিতে ছিল। যদি সে মাথা দিয়েই হেড দিতে পারতো তাহলে সে হয়তো হাত দিয়ে গোল করতো না। করতো কি? অবশ্যই করতো না। বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

‘তবে আমার আপত্তি হলো এই ঘটনাটি নিয়ে সে কখনো মাফ চায়নি। সে তার জীদ্দশায় কখনো বলেনি যে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছিল। কখনো বিষয়টি নিয়ে ব্যথিতও হয়নি। উপরন্তু বিষয়টিকে সে ‘হ্যান্ড অব গড’ আখ্যা দিয়েছি। এটা ঠিক ছিল না। এটা সত্য ম্যারাডোনা একজন বড় মাপের খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো তার কোনো স্পোর্টসম্যানশিপ ছিল না।’

ওই ঘটনার পর অনেকবার অনেকে চেষ্টা করেছিলেন শিল্টন ও ম্যারাডোনাকে একত্রিত করার। কিন্তু শিল্টন কখনোই সে পথে হাঁটেননি। বিভিন্ন শো, টক-শোসহ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে আমন্ত্রণ পেলেও তিনি যাননি। ১৯৮৬ সালের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ম্যারাডোনাকে এড়িয়ে গেছেন শিল্টন।

তবে এখন আর ম্যারাডোনার প্রতি তার কোনো ক্ষোভ নেই। তাকে কিংবদন্তি মানতেও আপত্তি নেই। শিল্টন বলেছেন, ‘ম্যারাডোনার সঙ্গে আমার জীবনের একটি ঘটনা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও সেই ঘটনাটিকে আমি পছন্দ করিনি কখনো। তবে অসময়ে তার মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছি। বিতর্কহীনভাবে সে একজন কিংবদন্তি ও বড় মাপের খেলোয়াড় ছিল। আমি যাদের বিপক্ষে খেলেছি তাদের মধ্যে সেরা ছিল সে।’