ইডেন পার্কে যখন নিউ জিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখোমুখি, তখন নাটক আর উত্তেজনাই নিয়তি। এখানেই দুই দল ২০০৬ সালে প্রথম বোল আউট ম্যাচ খেলেছিল। দুই বছর পর এখানেই হয়েছিল প্রথম সুপার ওভার। ৮ মাস বিরতির পর নিউ জিল্যান্ডে ফিরলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এদিনও ছিল ভরপুর উত্তেজনা- লম্বা লম্বা ছয়, দুর্দান্ত ফাস্ট বোলিং, তিনবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়া আর শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেটে জয়।
লকি ফার্গুসনের পেসের পর অভিষিক্ত ডেভন কনওয়ে, দুই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে শুরু করলো নিউ জিল্যান্ড।
আগে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজ আন্দ্রে ফ্লেচার আর ব্র্যান্ডন কিংয়ের ব্যাটে ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে। ১৪ বলে ৩টি করে চার আর ছয়ে ৩৪ রান করে ফ্লেচার আউট হলে বিপর্যয় শুরু হয়। ফার্গুসন আর টিম সাউদির তোপে মাত্র এক রানে ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
তারপরই কিয়েরন পোলার্ডের ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৫ রানে উইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়ায়। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও আটটি ছয়। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ কমে ১৬ ওভারে দাঁড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ৭ উইকেটে ১৮০ রান।
বৃষ্টি আইনে কিউইদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৭৬ রান। মার্টিন গাপটিল ও রস টেলরসহ ৪ ব্যাটসম্যান ৬৩ রানের মধ্যে ফিরে গেলে সংশয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা।
এই বিপদ নিউ জিল্যান্ড কাটায় কনওয়ে ও নিশামের ৭৭ রানের জুটিতে। কনওয়ে ৪১ রানে বিদায় নিলে স্যান্টনারের সঙ্গে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জেতান নিশাম। ২৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন নিশাম। জয়সূচক ছক্কা মারা স্যান্টনার ১৮ বলে ৩১ রানে খেলছিলেন। ১৫.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান করে কিউইরা। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ফার্গুসন। কুড়ি ওভারে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।