খেলাধুলা

৯৫ রানের পর সেঞ্চুরির কথা ভেবেছিলেন ইমন

বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ৪ রান। পারভেজ হোসেন ইমনও ছিলেন সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে। এমন উত্তেজনার মুহূর্তেও মনোবল হারাননি। স্নায়ুযুদ্ধে জিতে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

আনিসুল রহমান ইমনের বল কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দলকে জেতান, পেয়ে যান সেঞ্চুরিও। গড়েন ইতিহাস। বাংলাদেশ ক্রিকেটে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ৪২ বলে। মিরপুরে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন ইমন। ৯ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকিয়ে এ ব্যাটসম্যান এলোমেলো করে দেন রাজশাহীর বোলিং আক্রমণ।

দারুণ সম্ভাবনাময় এই তরুণ নিজের ইনিংস নিয়ে কথা বললেন বুধবার। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তা প্রকাশিত হলো: 

প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির পর বড় কোনও ইনিংস ছিল না। গতকালের সেঞ্চুরি কি আপনার ওপর থেকে সেই চাপ সরালো?

ইমন: আমি স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা করেছি। ওরকম কোনও চাপ নেই। 

৪২ বলে সেঞ্চুরি। অবিশ্বাস্য বটে। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও হয়েছে। আপনার আগ্রাসী মনোভাব কি আগের থেকেই এমন ছিল?

ইমন: আমি সহজাত এমন আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করি। এই অভ্যাসটা আগে ছিল। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে এমন ছিলাম না। 

আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতেই কি এরকম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং?

ইমন: আমি এভাবে ব্যাট করতেই পছন্দ করি, আগে এভাবেই ব্যাট করতাম। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ঢোকার পরে ওখানে পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। তখন ব্যাটিং ধরন একটু পরিবর্তন করতে হয়েছে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টটা টি-টোয়েন্টি বলে আমি মনে করেছি এরকম ব্যাটিংটাই ভালো হবে। আমি এইচপির শেষ দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচে মেরে খেলার চেষ্টা করেছি। সেখানে সফল হয়েছি। এরপরই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। 

দ্রুততম সেঞ্চুরির পর নিজের অনুভূতি কেমন ছিল?

ইমন: (সেঞ্চুরি করার পর অনুভূতি) আমি ভাবতেও পারিনি যে এমন কিছু হবে। 

কখন সেঞ্চুরির ভাবনা এসেছিল?

ইমন: সেঞ্চুরিটা হবে, এটা আমি শুরু থেকে ভাবিনি। সেঞ্চুরির কথা ভাবছি, যখন আমার ৯৫ রান এবং দলের জয়ের জন্যও ৫ রান লাগে তখন। আমি ভাবলাম এখন সেট আছি, হয়তো চেষ্টা করলে পারবো। তো তখনই মনে হলো যে আমি হয়তো সেঞ্চুরি করতে পারবো।

ব্যাটিংয়ে আপনার সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২২১ রানের লক্ষ্যে নেমে আপনাদের ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা কী ছিল?  

ইমন: তামিম ভাই বলছিলেন যে, স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে। যেমন খেলছিলাম সেটাই চালিয়ে নিতে। (তামিম আউট হওয়ার পর) নার্ভাসনেস কাজ করেনি। সহজাত খেলাটাই খেলছিলাম। তিনিও বলে গেছেন নিজের মতো করে খেলতে।

সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে কেমন লাগছে?

ইমন: আমরা অবশ্যই ভাগ্যবান যে এখনই বড়দের সঙ্গে খেলতে পারছি। ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে পারছি।

সেঞ্চুরির পর রাতের উদযাপন কেমন ছিল?

ইমন: রাতে উদযাপন একদম স্বাভাবিক ছিল।

ফরচুন বরিশাল এখনও শেষ চার নিশ্চিত করেনি। শেষ দুইটি ম্যাচ জিততেই হবে। ম্যাচগুলো নিয়ে আপনাদের কী ভাবনা?

ইমন: আগামীকাল একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এটার জন্য আমরা প্রস্তুত। কালকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচ নিয়ে আমরা আমাদের কোচদের সঙ্গে কথা বলেছি- কী করলে ভালো হবে, কোন পরিস্থিতিতে কেমন খেলতে হবে। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ। কালকে জেতার জন্য চেষ্টা করবো।