খেলাধুলা

সাইড বেঞ্চের পরীক্ষায় সফল চট্টগ্রাম

৬ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ছিল একেবারেই নির্ভার। তাইতো বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের নিয়মিত পাঁচ ক্রিকেটারকে বিশ্রামে পাঠাল তারা। নামাল সাইড বেঞ্চের ক্রিকেটারদের। তাতেও তাদের জয়রথ থামল না।

বরিশালকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’-এ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকল চট্টগ্রাম। মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল হাসান, লিটন কুমার দাশ, তাইজুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসানকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল চট্টগ্রাম।

তাদের পরিবর্তে মাঠে নামা পেসার মেহেদী, সঞ্জিত, রুয়েলরা দলের দাবি মেটাতে না পারলেও বড় ক্ষতি করেনি। সাইড বেঞ্চের নেওয়া পরীক্ষায় দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন সৌম্য। আগে ব্যাটিং করে বরিশাল ৬ উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছিল। সৌম্যর ৬২ রানের নান্দনিক ইনিংসে চট্টগ্রাম ৮ বল আগে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। 

নাহিদুল ইসলামকে প্রথম ওভারেই কভার ড্রাইভে দুই বাউন্ডারি হাঁকান সাইফ হাসান। এক ওভার পর একই স্পিনারকে দুই ছক্কা হাঁকান লং অন দিয়ে। পরে কাট করে বাউন্ডারি। পেসার রুয়েল মিয়াকে দারুণ ড্রাইভে দৃষ্টিনন্দন চার হাঁকিয়ে উইকেটে স্বাগত জানন সাইফ।

তবে স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় তার ওপর বাড়ছিল চাপ। সেই চাপ সরাতে গিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংই ছিল মূল ভরসা। কিন্তু ভালো বল সমীহ করতে পারছিলেন না। মোসাদ্দেকের বলে ডানহাতি ওপেনার এলবিডব্লিউ হন ৪৬ রানে। ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংসটি।

আরেক ওপেনার তামিমকেও ফেরান মোসাদ্দেক। শূন্য ও ১৪ রানে দুইবার জীবন পাওয়ার পর ৩৯ বলে ৫ চারে ৪৩ করে অফস্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেন। আগের ম্যাচে ৪২ বলে সেঞ্চুরি পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট হাসেনি। ১০ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ রান করে ফিরে আসেন সাজঘরে। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৪ রান করা দলটাই পরের ৬০ বলে তোলে ৬৫ রান।

শেষ দিকে বরিশালের রান বাড়ান আফিফ হোসেন। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করেন। মধ্যভাগে তৌহিদ হৃদয় ৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ১ রানে সাজঘরে ফেরেন। রান তাড়ায় সৌম্য ও সৈকত ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। মেহেদী মিরাজ দশম ওভারে এ জুটি ভাঙেন। ৩৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় সৈকত ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় দ্যুতি ছড়ান।

সৌম্য ৩২ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরো ১২ রান যোগ করে ফেরেন সুমন খানের বলে। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সৌম্য টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান। অধিনায়ক মিথুন ৩ রানে আউট হয়ে আবারও ব্যর্থ হন। জয় ৩১ ও মোসাদ্দেক ১২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। অসাধারণ ইনিংসে সৌম্যর হাতে যায় ম্যাচসেরার পুরস্কার।