খেলাধুলা

কোচের সঙ্গে এনামুলের বাকবিতণ্ডা

সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে এনামুল হক বিজয়ের। ব্যাটে রান নেই। একাদশে হারিয়েছেন জায়গা। পরিকল্পনার বাইরে থাকায় নেই ‘পর্যাপ্ত’ অনুশীলনের সুযোগও। দল জয়ের ধারায় নেই। ভাগ্য পরিবর্তন হয় না এনামুলের। সব হারিয়ে এনামুল হারিয়েছেন ধৈর্য।

শনিবার জেমকন খুলনার অনুশীলনে যোগ দিয়ে কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। একাডেমি মাঠে দীর্ঘ সময় এনামুল ও বাবুলের কথা যুদ্ধ চলে। এ সময় এনামুলকে আঙুল উঠিয়ে কথা বলতেও দেখা যায়। কোচ বাবুলও তাকে বোঝানোর চেষ্টা চালান।

এক পর্যায়ে নিজের সঙ্গে থাকা ব্যাট, গ্লাভস ছুঁড়ে মারেন এনামুল। অন্যান্য ক্রিকেটারদের অনুশীলন দেখতে কোচ এগিয়ে গেলে এনামুলকে বোঝাতে এগিয়ে যান ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। পরে কোচ আবার ফিরে আসলে দুইজনকে আলাদা করে নাফিস।

বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে নাফিস যান ছাউনির নিচে। সেখানে তাকে বুঝিয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠান তিনি। জানা গেছে, ছাউনির নিচে নিজের হতাশা প্রকাশ করে চোখের জল ফেলেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে ব্যাটিংয়ে সেরা বোলারদের পাননি বিজয়।

একাডেমির ডানপ্রান্তের শেষ উইকেটে থ্রো ডাউন খেলেন। পরবর্তীতে তাকে বোলিং করেন পেসার খালেদ আহমেদ। সেখানে খারাপ কিছুর মুখোমুখি হন। খালেদের একটি বল তার হাতে আঘাত করলে দ্রুত মাঠ ছাড়েন।

তবে কোচের সঙ্গে এনামুলের বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা অস্বীকার করেছেন ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, ‘এমন কিছু হয়নি। ’

অনুশীলনের নিয়মানুযায়ী, নিয়মিত একাদশে থাকা ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়। সেখানে বোলিং করেন নিয়মিত একাদশে সুযোগ পাওয়া বোলাররা। ধাপে ধাপে সুযোগ মেলে অন্যান্যদের। পরিকল্পনার বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের সুযোগ আসে পরে। আবার নতুন করে কাউকে নিয়ে পরিকল্পনা করলে তাকেও সুযোগ দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে আলাদা করেও কাজ করেন কোচ।

৪ ম্যাচে মাত্র ৪১ রান করা এনামুল খুলনার সকল পরিকল্পনার বাইরে। এ মুহূর্তে দল তাকে নিয়ে ভাবছে না। সেজন্যই হয়তো অনুশীলনে মিলছে না সুযোগ। প্রসঙ্গত, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইমরুল কায়েস পারিবারিক কারণে খেলতে পারেননি। সেই ম্যাচেও সুযোগ হয়নি এনামুলের।