খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির প্রথম ‘ফাইফার’

ইমরুল কায়েস ঠিকই বলেছিলেন, ‘বড় ম্যাচে বড়-বড় খেলোয়াড়েরা ভালো খেলেন।’ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করলেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি মুর্তজা। বল হাতে আগের দুজনকে ছাপিয়ে গেলেন মাশরাফি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্রথমবার ফাইফার অর্থাৎ এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।

সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, ছেলে-মেয়েও বাদ যায়নি। অক্টোবরের শেষ দিকে পান চোট। নানা কারণে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিলেন না মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত এই মাসের প্রথম দিনে হঠাৎ করে অনুশীলনে দেখা যায় তাকে। পরে এই ডানহাতি পেসারকে লটারির মাধ্যমে পায় জেমকন খুলনা।

লিগ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান মাশরাফি। কিন্তু সেভাবে পারফর্ম করতে দেখা যায়নি তাকে। এই চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেন এবং নেন ২৮ রান খরচায় এক উইকেট। বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষেও গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাত্র একটি উইকেটই ছিল তার সম্বল। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স হয়তো লুকিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালে ওঠার মঞ্চের জন্য। 

খুলনার ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে নামেন মাশরাফি, ব্যাট হাতে প্রথম বলে সৌম্য সরকারকে হাঁকান ছক্কা। তাতে ২১১ রানের টার্গেট দেয় তারা চট্টগ্রামকে। পরে বল হাতে দুর্দান্ত মাশরাফিকে দেখা গেছে। প্রথম ওভারের শেষ বলে সৌম্যকে বিদায় করেন তিনি। প্রথম বলেই ডাক মারেন চট্টগ্রামের ওপেনার। এখানেই শেষ নয়, সৌম্যসহ প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনকে মাঠছাড়া করেছেন মাশরাফি।

সাবেক অধিনায়ক একে একে সৌম্য, লিটন দাশ, মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানের উইকেট নেন। এর মধ্যে ১৮তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তিনি। মাশরাফি তার ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।  

এর আগে ১১ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট, ওটাই ছিল তার টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ২০১৮ সালের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে পেয়েছেন ৪ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা বোলিং ১৯ রানে ৪ উইকেট। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।