ক্রীড়াঙ্গনে ‘বয়স চুরি’ নতুন কোনো ঘটনা নয়। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বোর্ড কিংবা অ্যাথলেট বয়স কমিয়ে থাকেন। ক্রিকেটাঙ্গনও এর বাইরে নয়। অনেক ক্রিকেটার ধরা খেয়ে নিষিদ্ধও হয়েছেন।
তবে পাকিস্তানের বর্তমান পেসারদের নিয়ে সাবেক পেসার মোহাম্মদ যা বললেন তা রীতিমত ‘পুকুর চুরি’। সাবেক ডানহাতি পেসারের মন্তব্য, বর্তমান পাকিস্তান স্কোয়াডের অনেক পেসারের বয়স কাগজে কলমে ১৭-১৮। কিন্তু তাদের আসল বয়স ২৭- ২৮। পাশাপাশি পেসারদের লম্বা স্পেল বোলিং করতে না পারার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমলের ইউটিউব লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আসিফ এসব কথা বলেন।
পাকিস্তানের পেসারদের টেস্টে ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আসিফ শুরুতে বলেন, ‘আমি মনে করি, শেষ ৫-৬ বছরে পাকিস্তানের পেসারদের ১০ উইকেট পেতে দেখেনি। নিউ জিল্যান্ডের মতো উইকেটে আমরা বোলিং করতে মুখিয়ে থাকতাম। ফাস্ট বোলার হিসেবে বোলিং করবো না এটা হতে পারে না। পাঁচ উইকেট না পাওয়ার আগে আমি কখনো বলিনি বল করবো না।’
আসিফ আরও বলেন, ‘তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তাদের ধারণা নেই কিভাবে ব্যাটসম্যানকে ফ্রন্টফুটে এনে খেলাতে হবে। সিঙ্গেল দেওয়া যাবে না কিংবা এ ধরণের উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হবে। তারা বল করছে কিন্তু লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। বলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
‘বয়স চুরি’ নিয়ে আসিফ বোমা ফাটিয়ে বলেন, ‘তারা কিন্তু কম বয়সি নয়। বাচ্চা নয়। কাগজে কলমে তাদের বয়স ১৭-১৮। কিন্তু তাদের আসল বয়স ২৭-২৮। কিন্তু এতো অভিজ্ঞ হয়েও তারা ২০-২৫ ওভার করার সামর্থ্য রাখে না। তারা শরীর কিভাবে ধরে রাখতে হয় সেটাও জানে না। ৫-৬ ওভারের স্পেল করার পর মাঠে থাকার উপযুক্ত থাকে না তারা।’
নিউ জিল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ প্রতিনিধিত্ব করছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ আব্বাস। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে অলআউট করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ উইকেট পায় পাকিস্তান। পেসাদের পকেটে গেছে ১১ উইকেট। শাহীন শাহ আফ্রিদি প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে নাসিম শাহ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন।