খেলাধুলা

নড়াইলে টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন এসএম সুলতান একাদশ

ফাইনাল ম্যাচ একেই বলে। প্রতি মুহূর্তে থাকবে রোমাঞ্চ। প্রত্যেক বলে পাল্টাবে ম্যাচের রঙ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকবে শিহরণ, উত্তেজনা। নড়াইলে বিজয় দিবস বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে ছিল ‘একের ভেতর সব’।

টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ হাসি হাসে এসএম সুলতান একাদশ। আগে ব্যাটিং করে এসএম সুলতান একাদশ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তোলে। জবাবে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ একাদশ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ৭ রানের আক্ষেপে পোড়ে দলটি। ৪ উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা জয়ের নায়ক আল ইমরান।

লক্ষ্য আহামরি বড় ছিল না বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ দলের। কিন্তু দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও নাঈম ইসলাম দ্রুত সাজঘরে ফিরলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। এক পযার্য়ে সাব্বিরদের দলের রান ছিল ১১ ওভারে ১০২ রানে ২ উইকেট। সেখানে নাঈম এলবিডব্লিউ হন আল ইমরানের বলে। পরের ওভারে সাব্বির মিড উইকেট দিয়ে দ্রুতগতির বোলার আল আমিনকে উড়াতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ৪২ রানে। পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ দল। তাতে ১৫ ওভারে তাদের রান ১১৫।

দ্রুত উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে দলটি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু জাতীয় দলের পেসার আবু হায়দার রনির বলে ৫ রানের বেশি নিতে পারেনি। স্নায়ু ধরে রেখে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আশরাফুল, জিয়াউর রহমানদের এসএম সুলতান একাদশ ৭ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে। বল হাতে উইকেট মেডেন নেওয়া আশরাফুল ব্যাটিংয়ে ২৫ রান।

সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় নড়াইলে প্রথমবার হয়েছে এ টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিল নড়াইলের পাঁচ দল।

ফাইনালকে ঘিরে মাশরাফির নড়াইলে ছিল সাজসাজ রব। উৎসব, উন্মাদনা বেড়ে গিয়েছিল জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছেন প্রায় ৮ হাজার দর্শক। বাড়ির ছাদগুলো থেকে দর্শকের চোখ ২২ গজে। পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন ও মীনাবাজার এগিয়ে আসায় আন্তর্জাতিক ম্যাচের আবহ তৈরি হয়।

চ্যাম্পিয়ন এসএম সুলতান একাদশ ৩ লাখ টাকা এবং রানার্সআপ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ দল ২ লাখ টাকা প্রাইজমানি পায়। এছাড়া ম্যান অব দ্য ম্যাচ আল ইমরান ৫ হাজার টাকা, ম্যান অব দ্য ফাইনাল রাজিবুল ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার পান।

সমাপনী বক্তব্যে মাশরাফি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ও মীনাবাজারকে ধন্যবাদ জানান৷ পাশাপাশি ঘোষণা দেন, প্রতি বছর নড়াইলে বড় করে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।