খেলাধুলা

ক্ষুধার্ত উইন্ডিজকে নিয়ে আশাবাদী কোচ

আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশ ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে বিশ্বাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্সের। কিন্তু তিনি চান, তার তরুণ দল সুযোগটা লুফে নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিক।

সফরকারীরা একটি অনভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশে পা রেখেছে। টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, ওয়ানডে অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড, ড্যারেন ব্রাভো, শেল্ডন কট্রেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরানের মতো তারকারা করোনা আতঙ্কে সরে দাঁড়িয়েছেন।

তবে তাদের ছাড়াই দল ভালো কিছু করতে পারবে বিশ্বাস সিমন্সের। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার ফেভারিট কারণ তারা হোমে ভালো খেলে। এ নিয়ে তর্ক করার সুযোগ নেই।’ তাই বলে সহজে হার মানবে না ক্যারিবিয়ানরা, ‘আমরা ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ক্যারিবিয়ান ছেড়েছিলাম। হয়তো বলবেন, আমাদের পুরো দল আমরা পাইনি। কিন্তু একই সময়ে আমরা এমন এক দল পেয়েছি যারা ক্ষুধার্ত, ভালো করতে চায়। এই কন্ডিশনে খেলতে ও লড়তে মরিয়া তারা।’

অনভিজ্ঞ দল নিয়েও সাফল্যের মন্ত্র জানা আছে উইন্ডিজ কোচের এবং তা ছেলেদের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন, ‘অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কখনও কখনও উৎসাহ ও সাফল্যের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকেও হার মানায়। আমাদের কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে।’

স্বাগতিক বাংলাদেশ ফেভারিট হলেও তাদের বিপক্ষে তরুণ এই দলকে অনুপ্রাণিত করা কঠিন হবে না বললেন সিমন্স, ‘এই ছেলেদের অনুপ্রাণিত করা কঠিন না। এখানে যারা আছে তাদের সবাই সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। তারা জায়গা দখল করতে চায়। আগেও বলেছি, সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে এই বছর। সবাই সেদিক থেকে বেশ অনুপ্রাণিত।’

আইসিসি ওয়ানডে লিগের অংশ হিসেবে উইন্ডিজের ২০২৩ বিশ্বকাপে ওঠার পথচলা শুরু হবে এই সিরিজ দিয়ে। তাই তিন ওয়ানডের এই সিরিজে তরুণরা সুযোগ নেবেন মনে করেন সিমন্স, ‘এটাই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার শুরুটা এখান থেকেই হচ্ছে। সফরে যারা আছে তারা এখানে অন্যের জায়গা পূরণ করতে আসেনি, এটা তাদের জন্য সুযোগ। দলে জায়গা দখল করার সুযোগ। সব ক্রিকেটারের প্রতি আমার এই বার্তাটা থাকবে। এখানে যদি তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্টে ভালো করে, তাহলে সে নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে, যেখান থেকে কেউ তাকে সরাতে পারবে না। এই সুযোগটা শুধু তারই।’

আগামী ২০ ও ২২ জানুয়ারি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হবে ঢাকায়। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে চট্টগ্রামে। ৩ ফেব্রুয়ারি সেখানে প্রথম টেস্ট খেলে ঢাকায় ফিরে ১১ ফেব্রুয়ারি সফরের শেষ ম্যাচটি খেলবে উইন্ডিজ।