খেলাধুলা

বাংলাদেশে স্পিন সামলাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ব্ল্যাকউড

বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করতে হলে স্পিন সামাল দেওয়ার বিকল্প নেই, এটা ভালোই জানা আছে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৩ ফেব্রুয়ারির চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি মোকাবিলার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহঅধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এজন্য টেকনিক্যাল নয়, মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

ব্ল্যাকউডের মতে, স্পিন মোকাবিলায় মানসিকভাবে প্রস্তুতিই হবে আসন্ন দুটি টেস্টে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। সবশেষ গত ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট খেলা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এখানকার পিচের ধরন খুব মন্থর। তাই আমাকে (প্রস্তুত থাকতে হবে) মানসিকভাবে, কারণ টেকনিক্যালি আমি এখন খুব বেশি কাজ করতে পারবো না। কিন্তু মানসিকভাবে আমি জানি এটা হতে যাচ্ছে খুব মন্থর এবং এখানে স্পিন কাজ করবে। একবার আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারলে ভালো খেলতে পারবো। বাকিটা পরিস্থিতি অনুযায়ী হবে।’

নেটে ব্যাটিংটা উপভোগ করছেন ব্ল্যাকউড, এখন সেটা ম্যাচে প্রয়োগ করার পরিকল্পনা। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে শেষবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলা এই ব্যাটসম্যান বললেন, ‘আমি নেটে ব্যাটিংয়ে খুব ভালো করছি। এখন সেটা মাঠে প্রয়োগ করতে চাই। মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলতে আর তর সইছে না। কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আছি। এখন আমি কেবল খেলতে চাই।’

ব্ল্যাকউড প্রকাশ করলেন, ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে কথোপকথনের পর তার ব্যাটিং বদলে গেছে। স্কোর বড় করার পদ্ধতিও জেনে গেছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের পরামর্শে। গত ডিসেম্বরে হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া ব্ল্যাকউড বললেন, ‘আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার আসলে তেমন একটা কথা হয় না। তবে কয়েকবার বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেছিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায়। সর্বশেষ ভারত যখন ক্যারিবিয়ান সফরে গেলো, জ্যামাইকায় ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে আমার অল্প কথা হয়েছিল।’

কোহলির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল তা জানালেন ব্ল্যাকউড, ‘তার কাছে জানতে চাইলাম আমার অনেক হাফসেঞ্চুরি, কিন্তু একটা সেঞ্চুরি। এটা কেন? সে শুধু বললো, যখন তুমি সেঞ্চুরি করো তখন তুমি কী করবে, কতগুলো বলের মুখোমুখি হবে? আমি বললাম ২১২ বল মোকাবিলা করেছিলাম। সে বললো, এটাই। যত বেশি বল খেলবে তত রান হবে।’

এই কথাই বদলে দিয়েছে ব্ল্যাকউডকে, ‘এখান থেকে একটা বড় ব্যাপার মনে ছাপ ফেলেছিল। ওই কথোপকথনের পর আমি নিজেকে বললাম একবার যদি ২০০ বা তিনশর বেশি বল খেলতে পারি, যেভাবেই ব্যাট করি না কেন কিংবা যেখানে বা যার বিপক্ষেই খেলি আমি রান করতে পারবো।’