খেলাধুলা

ক্রাইস্টচার্চ ভূমিকম্পের দশম বছরে অজিদের গুঁড়িয়ে দিলো কিউইরা

২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে ঘটেছিল নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প। যাতে প্রাণহানি হয়েছিল ১৮৫ জনের এবং আহত হন প্রায় ২ হাজার নিউ জিল্যান্ডবাসী। আজ সোমবার ছিল তারই দশম বর্ষপূর্তি। নিহতদের স্মরণে ক্রাইস্টচার্চে নানা আয়োজন করা হয়, ঠিক এই দিনে শহরের হ্যাগলি ওভাল স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিলো নিউ জিল্যান্ড।

ডেভন কনওয়ের ঝড়ে উড়ে গেলো সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ২৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অপরাজিত ৯৯ রানের ইনিংস নিউ জিল্যান্ডকে এনে দেয় ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। বড় লক্ষ্য দিয়ে টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট নতুন বল হাতে ভাঙন ধরান টপ অর্ডারে। বাকি কাজ সারেন ইশ সোধি, তার ঘূর্ণিতে ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৫৩ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকলো কিউইরা।

শুরুতে দুই দলের ব্যাটসম্যান বিপদের মুখোমুখি হয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪ রান করে নিউ জিল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৩৬ রান। তবে কনওয়ের মতো অজিদের ব্যাটিং অর্ডারে কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সোধি ৪ উইকেট নিয়ে তাদের দাঁড়াতে দেননি।

১৯ রানে নিউ জিল্যান্ড ৩ উইকেট হারালে গ্লেন ফিলিপসের (৩০) সঙ্গে ৫১ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে। এরপর বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ৪৭ রানের আরেকটি কার্যকরী জুটিতে সহায়তা করেন জিমি নিশাম (২৬)। মিচেল স্যান্টনারকে (৭*) নিয়ে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন কনওয়ে। ম্যাচসেরা হওয়ার পথে তার অপরাজিত ইনিংসটি ছিল ৫৯ বলের, ১০টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ঝাই রিচার্ডসন ও ড্যানিয়েল স্যামস নেন দুটি করে উইকেট।

লক্ষ্যে নেমে ১৯ রানেই চার উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া, যার দুটি করে পান সাউদি ও বোল্ট। মিচেল মার্শ ৩৩ বলে ৪৫ রান করে যা একটু ব্যবধান কমান। পরে সোধি তার ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে এই স্পিনার নেন ৪ উইকেট।