খেলাধুলা

শেষ ম্যাচ খেলার দুই বছর পর অবসরে থারাঙ্গা

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা। শেষবার তিনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের একটি ওয়ানডে ম্যাচে।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে থারাঙ্গা টুইটারে লিখেছেন, ‘একটি পুরোনো প্রবাদ আছে যে, সব ভালোর শেষ আছে। আমি বিশ্বাস করি ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার সবটুকু দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানোর এখন ঠিক সময়।’

শ্রীলঙ্কার হয়ে থারাঙ্গা ৩১ টেস্ট খেলে ২১.৮৯ গড়ে ১৭৫৪ রান করেছেন, রয়েছে তিন সেঞ্চুরি ও আট ফিফটি। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে তার টেস্ট অভিষেক হয় এবং লাল বলের শেষ ম্যাচটি খেলেন ২০১৭ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে পাল্লেকেলেতে।

একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও খণ্ডকালীন উইকেটকিপার থারাঙ্গা দেশের হয়ে সবচেয়ে সফল সময় কাটান ওয়ানডেতে। খেলেছেন ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। ২০০৫ সালের আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকের পর ২৩৫ ম্যাচে ৩৩.৭৪ গড়ে করেছেন ৬৯৫১ রান। এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে তার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৭৪ রানের ইনিংস দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ারে ১৫ সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বাধিক সেঞ্চুরির তালিকায় সনাৎ জয়াসুরিয়া (২৮), কুমারা সাঙ্গাকারা (২৫), তিলকারত্নে দিলশান (২২) ও মাহেলা জয়াবর্ধনের (১৮) পর অবস্থান থারাঙ্গার।

২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ইনজুরিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব পান থারাঙ্গা। পরের বছর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে ম্যাথুজ সরে দাঁড়ালে পুরোপুরো দায়িত্ব পান তিনি।

তবে অধিনায়ক হিসেবে তার ক্যারিয়ার ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। দলের পারফরম্যান্সের কারণে অধিনায়ক থারাঙ্গা খ্যাতি কুড়াতে পারেননি। তিনটি ৫-০ তে হোয়াইটওয়াশ এবং একাধিক ওভার রেট নিষেধাজ্ঞা ছিল তার সময়ে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে তাকে বরখাস্তও করা হয়।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৬টি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন থারাঙ্গা, ক্যারিয়ার সেরা ৪৭ রান সহ সব মিলে করেছেন ৪০৭ রান।