খেলাধুলা

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপনের কারণ জানালেন আকমল

গত বছরের পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নিষিদ্ধ হন উমর আকমল। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের (সিএএস) রায়ে শাস্তি আরেক দফা কমেছে পাকিস্তানি কিপার-ব্যাটসম্যানের। তাতে এখনই ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারবেন। আপিলের রায়ে নিষেধাজ্ঞা কমার পর আকমল জানালেন, কী কারণে তিনি জুয়াড়ির প্রস্তাব লুকিয়েছিলেন?

জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার কথা কেন পিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে জানাননি, তা সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা করলেন আকমল। তার দেওয়া তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা ছিল তার মনে। পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘পিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে বিষয়টি নিয়ে আমি রিপোর্ট করতে চাইনি কারণ আমার ভয় হচ্ছিল যে তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে এবং তা গোপন থাকবে না।’

তবে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়েছিলেন বলে আকমল জানালেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করার ইচ্ছা আমার ছিল। পাকিস্তান সুপার লিগে আমাকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আমি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ব্যস্ত ছিলেন এবং তারপরই এই ঘটনা ঘটে গেলো।’

নিজেকে কলঙ্কমুক্ত দাবি করে বলেছেন, ‘আমি কখনও এই ধরনের অনৈতিক কাজে জড়াইনি। পাকিস্তানের হয়ে খেলা আমার জন্য সবচেয়ে সম্মানের।’

জুয়াড়ির প্রস্তাব লুকানোর কারণে গত বছরের এপ্রিলে প্রথমে আকমলকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় পিসিবি। পরের মাসে তার আপিলে শাস্তি কমে দাঁড়ায় দেড় বছরে। পরে ক্রীড়া আদালতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আপিল করেন আকমল এবং তা আরও ছয় মাস কমে হয় ১২ মাসের। এই রায় অনুযায়ী এরই মধ্যে শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে মাঠে ফেরার আগে পিসিবির দুর্নীতি বিরোধী পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে তাকে।

দ্রুত মাঠে ফিরতে পিসিবির সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চান আকমল, ‘ক্রিকেট আমার রুটি-রুজি। আমি জানি ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় গত বছর কতটা ক্ষতি আমার হয়েছে। আমার পাকিস্তান ক্যারিয়ারকে পুনরুত্থান করতে চাই এবং তা পারবো বলে আশাবাদী। গত ১২ মাসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি এখন কেবল ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে চাই, কারণ এখনও দেওয়ার অনেক বাকি আছে।’