খেলাধুলা

নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ও সাইক্লিংয়ে সময় কাটছে তামিমদের

নিউ জিল্যান্ডের কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিয়মে রুমবন্দি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে প্রথম সাত দিন আইসোলেশন। তৃতীয় দিন থেকে নিয়মিত গ্রুপ করে দুই বেলা রুম থেকে বের হন তারা। ৩০-৪০ মিনিটের মতো মুক্ত বাতাসে হাঁটাহাঁটির পর আবার রুমে চলে যান।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ দল স্কিল ট্রেনিং শুরু করতে পারবে। সেদিকেই তাকিয়ে আছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে আইসোলেশনে থেকে কী করছেন তারা? কেমন করে কাটছে দীর্ঘ সময়! তাদের ২৪ ঘণ্টা কীভাবে কাটছে সোমবার তা জানালেন তামিম।

ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ’২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ২৩ ঘণ্টা আমাদের রুমে থাকতে হয়। ৩০ মিনিটের জন্য আমরা মুক্ত বাতাসে যেতে পারি। রুমের মধ্যে সৌভাগ্যবশত আমরা সাইকেল পেয়েছি, সঙ্গে আমাদের কিছু ব্যান্ড ট্যান্ড দিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। আমরা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ও সাইক্লিং করতে পারি। সময় কাটানোর জন্য নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম এসব ভরসা। আর ঘুমাই। এছাড়া তো আর কিছু করার নেই। কারণ আপনি অন্য কারও সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন না, অন্য কোনও রুমেও যেতে পারবেন না। তো এভাবে করে চলে যাচ্ছে আরকি।'

করোনা পরবর্তীত পরিস্থিতিতে পাল্টে গেছে স্বাভাবিক জীবন। নতুন এ জীবন সম্পর্কে তামিমের ভাষ্য, ‘কেমন লাগছে এটা... (হাসি), ঠিক আছি। এখন আসলে মেনে নিতে হবে। যেখানেই যাবো, সেখানেই এই নিয়ম-কানুন থাকবে। ঠিক আছে, অত খারাপ না। এখনও অনেক সতীর্থ আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়নি। কঠিন পরিস্থিতি, তবে সময় কেটে যাচ্ছে।’

অনুশীলনে নামার অপেক্ষায় থাকা তামিম মনে করেন, শুরুর দিকে দুই-একটি সেশন হবে চ্যালেঞ্জিং। কেন? উত্তরটা তার মুখ থেকেই শুনুন, ‘আমাদের এক-দুই সেশন কঠিন হবে। যেহেতু আমাদের নড়াচড়া সীমাবদ্ধ ছিল। দুইটা সেশনের পর আবার সব ঠিক হয়ে যাবে। শারীরিক জড়তাও কাটিয়ে ওঠা যাবে।’