খেলাধুলা

ভূমিকম্পে কাঁপছে ঘর, ঘুমে কাতর শরীফুলের মনে হয়েছে ‘স্বপ্ন’ 

৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপেছে নিউ জিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ড। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এখন অবস্থান করছে দেশটিতে। বাংলাদেশ দল নিরাপদে আছে। তবে ভূমিকম্পের কাঁপন ভালোই টের পেয়েছেন দলের পেসার শরীফুল ইসলাম।

নিউ জিল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে রাইজিংবিডিকে জানান, ঘর-বেডের নড়াচড়া দেখে প্রথমে স্বপ্ন মনে হয়েছে। পরে চোখ খোলার পর বুঝতে পারেন যে ভূমিকম্প হচ্ছে।

শরীফুল বলেন, ‘আমি শুয়ে আছি তখন বেড নড়তেছে। মনে হয়েছে বেড নড়তেছে না আমি স্বপ্ন দেখছি। পরে যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখলাম পুরো ঘর কাঁপতেছে। তখন একটু ভয় পাইছি। এরপর আর ঘুমোতে পারিনি। এখনো আমার বুক ধড়পড় করছে।’

স্বাস্থ্যবিধির কারণে এখনো ক্রিকেটারদের থাকতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে। শরীফুলদের গ্রুপে আছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোসহ ৫ জন। তখনো এই প্রসঙ্গে তার সতীর্থদের কারো সঙ্গেই কথা হয়নি। কথা হয়নি গ্রুপে থাকা অন্য সদস্যদের সঙ্গেও। একা একাই শুয়ে পার করছিলেন সময়।

অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার জানালেন, দলের নিরাপত্তা প্রতিনিধি হিসিবে যাওয়া আকসু প্রধান মঞ্জুর মোর্শেদ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটা মেসেজ দিয়ে সবাইকে বলছিলেন ভয় না পেতে।

শরীফুল যখন কথা বলছেন তখন নিউ জিল্যান্ডে সকাল ৮টা। বাংলাদেশে রাত ১টা। স্থানীয় সময় ৯টা থেকে জিমে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। এরপর দুপুর ২টা থেকে অনুশীলন। তখন পর্যন্ত অনুশীলন সূচিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এর আগে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও রাইজিংবিডিকে ফোনে একই কথা বলেন, ‘দলের নিরাপত্তা প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়া আকসু প্রধান মঞ্জুর মোর্শেদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ক্রিকেটাররা ভালো আছে। নিউ জিল্যান্ডে যে কোনো জাতীয় দুর্যোগে সরকার সফরকারী দলগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে নিউ জিল্যান্ড সরকারের। যে কোনো সমস্যায় তারা পাশে থাকবে।’

রাজধানী ওয়েলিংটন ও আশপাশের অন্যান্য এলাকায় সুনামির আশঙ্কা নেই। তবে জননিরাপত্তা বিভাগ সর্বসাধারণকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, ভূমিকম্পের পর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে উঁচু ও অস্বাভাবিক ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।

৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে গতকাল থেকে ৭ গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। এভাবে অনুশীলন করতে হবে আরও ৭দিন। এরপর ফিরতে পারবেন স্বাভাবিক জীবনে। ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।