খেলাধুলা

বিফলে যায়নি ফিঞ্চ ঝড়

শেষ ওভারে অ্যারন ফিঞ্চ ঝড় তুললেন, স্কোরবোর্ডে রান ১৩০ থেকে নিয়ে গেলেন ১৫৬-তে। তা না করলেও পারতেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। কারণ নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ১০৬ রানেই। ৫০ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-২ এ সমতায় আনলো অস্ট্রেলিয়া।

টানা দুই ম্যাচ হারের পর অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতলো তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ। আগামী ৭ মার্চ ওয়েলিংটনে হবে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি।

শেষ ওভারে চার ছক্কায় ২৬ রান করেছিলেন ১৯তম ওভারে ফিফটি হাঁকানো ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ার ৩৪ বছর বয়সী অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে। অথচ তার চেয়ে একটি বেশি রান অর্থাৎ ৮০ করতে গিয়েই নিউ জিল্যান্ড হারিয়েছে ৮ উইকেট।

শেষ পর্যন্ত কাইল জেমিসনের ইনিংস সেরা ৩০ রানে দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে তাকে ফেরান কেন রিচার্ডসন, তৃতীয় উইকেট নিয়ে অজি বোলারদের পক্ষে তিনিই সেরা পারফরম্যান্স করেন। এছাড়া অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দুটি করে উইকেট নেন।

জেমিসন ছাড়া কেবল টিম সেইফার্ট (১৯) ও ডেভন কনওয়ে (১৭) দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পেরেছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক একাই ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন দলের জন্য।

ম্যাথু ওয়েড (১৪), ফিলিপ্পে (১৩) ও ম্যাক্সওয়েল (১৮) ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। মার্কাস স্টয়নিসের ১৯ রান ছিল ফিঞ্চের পর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। পিচ ঠিক কারও পক্ষেই ছিল না। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা ফিঞ্চ যে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করেছেন তাও নয়। ১৯তম ওভারে ৪৭ বলে ৫টি চারে ১৪তম ফিফটি করেন অজি অধিনায়ক।

হাফ সেঞ্চুরি করার পরও স্কোরবোর্ডে রান সন্তোষজনক ছিল না। তাই সব শক্তি নিংড়ে দিলেন শেষ ওভারে। নন স্ট্রাইকে থাকা ঝাই রিচার্ডসনকে সুযোগই দিলেন না। প্রথম বলে নিলেন দুটি রান। পরের তিন বলে কাইল জেমিসনকে উড়িয়ে টানা ছক্কা মারলেন। পঞ্চম বলটি ইয়র্কার হয়ে আসায় ঠেকালেন আর শেষ বল মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছয়। ৫৫ বলের ইনিংসের চারটি ছক্কায় হাঁকান শেষ ওভারে, অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে। রিচার্ডসনের সঙ্গে তার অপরাজিত জুটিটি ৪২ রানের, যা ইনিংস সর্বোচ্চ।

নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ইশ সোধি। দুটি পান ট্রেন্ট বোল্ট।