খেলাধুলা

পেস আক্রমণে জয়ের আশা

বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মতে, এবার তার দলের নিউ জিল্যান্ডে কিছু করার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে যা কোনও বাংলাদেশি দল আগে করতে পারেনি। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কন্ঠেও একই সুর। তারও বিশ্বাস, এবার নিউ জিল্যান্ডে জয়ের খাতা খুলবে বাংলাদেশ।

সীমিত কিংবা বড় পরিসের নিউ জিল্যান্ডে কোনো সাফল্য নেই বাংলাদেশের। ২৬ ম্যাচে প্রতিটিতেই হার। এবার ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। আর দলকে ভালো ফল দিতে আশা দেখাচ্ছেন পেসাররা। 

মোস্তাফিজ, রুবেল, হাসান, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিনদের নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছে নিউ জিল্যান্ডে। মোস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিন, সাইফ উদ্দিন, আল-আমিনরা নিউ জিল্যান্ডে এর আগেও গিয়েছেন। শরিফুল, হাসান বয়সভিত্তিক দলের হয়ে গিয়েছেন কিউইদের দেশে।

পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান ফর্ম মিলিয়ে পেসারদের থেকে ভালো পারফর্ম পেতে আশাবাদী তামিম। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে তামিম বলেন,‘আমাদের পেস বোলিং আক্রমণ হয়তোবো আগে যতবার এসেছি তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। ভালো অবস্থায় আছে অবশ্যই। পাশাপাশি ভালো করাও লাগবে কিন্তু এতটুক বলতে পারি যে এখন যে গ্রুপটা আছে পেস বোলারদের তারা খুবই ভালো।’

এর আগে রাসেল ডমিঙ্গো বলেন,‘ ‘আমি মনে করি আমাদের কয়েক জন ভালো তরুণ ফাস্ট বোলার আছে যারা এমন অবস্থায় আছে, যা হয়তো নিউ জিল্যান্ড আগে কখনও দেখেনি। তারা এমনটা হয়তো প্রত্যাশাও করেনি। হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ সুন্দর বোলিং করছে। আমাদের কয়েক জন ফাস্ট বোলারদের নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’

কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ ও মাঠের সীমানা; তিনের বিবেচনায় তামিম ৫ বোলার নিয়ে মাঠে নামতে চান। বোলিং আক্রমণে ঘাটতি চান না বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার সাফ কথা,‘আমরা অবশ্যই অন্তত ৩ জন পেসার নিয়ে নামবো বলতে পারি। সাথে অলরাউন্ডার থাকবে। আমি অধিনায়ক হিসেবে আমি অবশ্যই চাই পাঁচজন বোলার নিয়ে নামতে। কারণ নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে আপনি যদি চারজন বোলার নিয়ে খেলেন অনেক সময় কঠিন হতে পারে। এখানে মাঠগুলো একটু ছোট হয়, হাই স্কোরিং গেম হয়। আমার কাছে মনে হয় ৫ জন বোলার নিয়ে নামা উচিত আর আমরা সেটাই করতে যাচ্ছি।’