খেলাধুলা

খারাপ দিন ভুলে সামনে তাকিয়ে বাংলাদেশ

একটা খারাপ দিন সব এলোমেলো করে দিতে পারে। আবার একটা ভালো দিন সবকিছু পক্ষে নিয়ে আসতে পারে। 

শনিবার ডানেডিনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল একটি খারাপ দিন কাটিয়েছে। ব্যাটিং কিংবা বোলিং সেদিন কোনো কিছুই বাংলাদেশের মন মতো হয়নি। কোনো কিছুই বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। 

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩১ রানে অল আউটের পর ৮ উইকেটে ম্যাচ হার। বাংলাদেশ এখন সামনে তাকিয়ে। পুরোনো ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে জেগে উঠার প্রত্যয়। দলের নবীনতম সদস্য মাহেদী হাসান। ডানহাতি স্পিনারের অভিষেক হয়েছিল সেই ম্যাচে। রোববার ডানেডিন থেকে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। 

ক্রাইস্টটার্চে পৌঁছে মাহেদী বলেন, ‘আমাদের দলটা আসলে এরকম না। একটা খারাপ দিন ছিল যে কেউ ভালো করতে পারেনি। তাই আমরা ভুলে যাচ্ছি খারাপ দিনটি। আমরা সামনের ম্যাচে তাকিয়ে আছি। মনোযোগ ধরে রাখছি পরের ম্যাচে। আমাদের টিম কম্বিনেশন খুব ভালো। টিম কম্বিনেশন অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে আশা করছি ভালো ফল হবে।’ 

দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের লক্ষ্যর কথা জানিয়ে রাখলেন মাহেদী, ‘এখানে খেলতে গেলে অবশ্যই রান প্রয়োজন। যদি ২৮০ বা ২৬০-২৭০ করা যায়, তাহলে ওদের বিপক্ষে তা ডিফেন্ড করার মতো। ব্যাটসম্যান আমরা যারা আছি, সবারই দায়িত্ব আছে একটি ভালো স্কোর দাঁড় করানোর জন্য।’ 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এমন দিনে মাহেদীর অভিষেক যেদিন প্রাপ্তির খাতা শূন্য। উল্টো নেগেটিভ মার্কিং হলেও বাংলাদেশের অনেক নম্বর কাটা যেত! স্পিন অলরাউন্ডার মাহেদীর শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। স্ট্যানারকে ছক্কায় উড়িয়ে রানের খাতা খুলেন। এরপর ট্রেন্ট বোল্টকে পুল করে চার। আরও ৪ রান পেয়েছেন সিঙ্গেল থেকে। 

কিন্তু নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ রানে ফেরেন সাজঘরে। বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও সুযোগ তৈরি করছিলেন বারবার। অভিষেক স্মরণীয় হয়নি। তাতে আক্ষেপ আছে তরুণ ক্রিকেটারের।  ‘একজন খেলোয়াড়ের অভিষেক ম্যাচ সবসময় খুব স্মরণীয় হয়ে থাকে। এত বছর কষ্ট করে ক্রিকেট খেলছি...এরপর অভিষেক হলো ওয়ানডেতে। এটা অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে ম্যাচটা জিততে পারলে হয়তো বা আরো ভালো লাগতো।’ – বলেন মাহেদী।