খেলাধুলা

বিকেএসপিতে নাসিরময় একদিন

ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৪ উইকেট। নাসির হোসেন যেন `ওয়ান ম্যান আর্মি’।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রংপুর বিভাগের এ স্পিন অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ঘূর্ণিতে দিশেহারা ঢাকা বিভাগ। পেয়েছেন ৪ উইকেট। ঢাকা অলআউট মাত্র ১২৮ রানে।

যদিও প্রথম ইনিংসে বড় লিডের সুবাদে রংপুরকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে তারা। ঢাকার ৩৬৫ রানের জবাবে নাসিরের সেঞ্চুরির পরও রংপুরের রান ২৩০। ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বুধবার তৃতীয় দিন শেষে রংপুরের রান ২ উইকেটে ৩৫।

জয়ে জন্য ঢাকার প্রয়োজন ৮ উইকেট, রংপুরের ২২৯ রান। দেখার বিষয় শেষ দিনে কারা হাসে বিজয়ের হাসি।

৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছিলেন নাসির। সেঞ্চুরি পেতে মরিয়া এ ব্যাটসম্যান বাড়তি ঝুঁকি নেননি। দেখেশুনে শট খেলে নাজমুল ইসলাম অপুর বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। এরপর যোগ করেন আরও ১৫ রান। শেষমেষ তাকে থামান পেসার সালাউদ্দীন শাকিল। ২৫২ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কা সাজান ১১৫ রানের ইনিংসটি।

বল হাতে ঢাকার হয়ে ৪ উইকেট নেন নাজমুল। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন দুই পেসার সুমন ও শাকিল। শুভাগত হোম ও আরাফাত সানির পকেটে গেছে একটি করে উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানের লিড পাওয়ায় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিভাগ। তাতে বিপদ ডেকে আনে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। কোনও ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস বড় করেননি। ১২৮ রানে শেষ তাদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন আরাফাত সানি। ৩৬ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া রনি তালুকদার ২১, শুভাগত হোম ১৯, তাইবুর পারভেজ ১৫ রান করেন।

ব্যাটিংয়ের পর নাসিরই রংপুরের সেরা বোলার। ৯.৫ ওভার বোলিং করেন ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩ ও মাহমুদুল হাসান ২ উইকেট নেন।

লক্ষ্য করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। তানবীর হায়দার ও জাহিদ জাবেদ ৫ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। দুজনের উইকেট নেন দুই বাঁহাতি সানি ও নাজমুল। সোহারাওয়ার্দী ১২ ও মাহমুদুল ৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।