খেলাধুলা

মুকিদুলের আগুনে বোলিং, তুষারের ৩২তম সেঞ্চুরি

ইনিংসের প্রথম দুই বলে ২ উইকেট। গ্যালারিতে বাবা-মা ও দুই বোনের উল্লাস। এমন দিন নিশ্চয়ই ভুলবেন না মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এর পর ডানহাতি পেসার পেলেন আরও ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে ৬৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে রংপুর বিভাগের এ পেসার একাই ধসিয়ে দিলেন খুলনা বিভাগকে।

রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে খুলনা বিভাগ সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ২২১ রান। দলের হয়ে একাই লড়েছেন অভিজ্ঞ তুষার ইমরান। ১১৬ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলে সম্মান বাঁচিয়েছেন। তুষারের ক্যারিয়ারের ৩২তম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সেঞ্চুরির দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন খুলনার অধিনায়ক সোহান। এছাড়া ২৯ রান আসে নাহিদুলের ব্যাট থেকে।

মুকিদুলের খেলা গ্যালারিতে বসে দেখেছেন বাবা-মা। ছেলেকে নিয়ে তাদের অনেক প্রত্যাশা। বাবা বলেন, ‘ছেলে আজ ছয় ৬টি উইকেট পেয়েছে। এজন্য খুব খুশি। আগামী দিনে সে আরও ভালো করবে সেই প্রত্যাশা।দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই সে যেন সারাবিশ্বে নিজের নাম উজ্জ্বল করতে পারে।’ মা বলেন,‘ছেলের জন্য দোয়া চাই। সে যেন সারা বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে।’

দিনের প্রথম বলে রবিকে আউটের পর ইমরুলকেও সাজঘরের পথ দেখান এ পেসার। এরপর অমিত মজুমদারের উইকেট পান। পরবর্তীতে ফিরে এসে তার শিকার আব্দুল হালিদ, মিনহাজ রহমান ও তুষার ইমরান। সেঞ্চুরিয়ান তুষার ইমরানকে পয়েন্টে রিশাদের হাতে তালুবন্দি করান দ্রুতগতির এ পেসার। তুষার ১৩৬ বলে ২১ চারে সাজান নিজের ইনিংসটি। মুকিদুল বাদে ২টি করে উইকেট নেন আরিফুল হক ও নবীন ইসলাম।

জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরও হারিয়েছে ৩ উইকেট। আগের রাউন্ডে দ্যুতি ছড়ানো টুটুল এবার নিজের প্রথম বলে পেয়ে যান নবীনের উইকেট। দলে ফেরা আব্দুল হালিম সাজঘরের পথ দেখান জাহিদ জাভেদকে। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা সোহরাওয়ার্দী শুভ ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তানবীর হায়দার ২৯ ও নাসির হোসেন ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। এখনও ১১৮ রানে পিছিয়ে আছে রংপুর বিভাগ।