দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোববার (৪ এপ্রিল) জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের রান আউট নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ব্যাটসম্যানকে কুইন্টন ডি কক বিভ্রান্ত করার বা প্রতারণার চেষ্টা করেছেন কি না সেই সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের নেওয়ার কথা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৪২ রানের টার্গেটে নেমে শেষ ওভারের প্রথম বলে ১৯৩ রানে রান আউট হন ফখর। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ৩১ রানের। দুই ব্যাটসম্যান ফখর ও হারিস রউফ দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় দেন। ফখর দ্বিতীয় রানটি নিতে স্ট্রাইক প্রান্তে ছুটে আসার সময় উইকেটকিপার ডি কক এমন ভাব করেন যে ফিল্ডার নন স্ট্রাইকার প্রান্তে বল ছুড়ছেন। ফলে পাকিস্তানি ওপেনার নির্ভার হয়ে গতি কমিয়ে দেন এবং পেছনে ফিরে দেখেন রউফ ঠিকমতো পৌঁছাতে পেরেছেন কি না। কিন্তু ততক্ষণে অ্যাইডেন মারক্রামের থ্রো স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে লাগে।
এই বিতর্কিত আউটকে ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এভাবে ব্যাটসম্যানকে ভুল পথে পরিচালিত করা কিংবা প্রতারণা করা অপরাধ হিসেবেই ধরা হয়। অবশ্য ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এমসিসি টুইটারে এ সংক্রান্ত আইন ৪১.৫.১ তুলে ধরে। কিন্তু ডি কক দোষী নাকি নির্দোষ তা এড়িয়ে যায় তারা।
পরে আরেক টুইটে এমসিসি লিখেছে, ‘আইন এক্ষেত্রে স্পষ্ট যে, প্রতারণা করার বদলে প্রতারণার চেষ্টা অপরাধ। এক্ষেত্রে আম্পায়ারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে প্রতারণার চেষ্টা হয়েছে কি না। তাই যদি হয়, তবে এটা নট আউট। ৫ রান পেনাল্টি দেওয়া হবে, আর ব্যাটসম্যান যে দুটি রান নিয়েছেন সেটিও যোগ হবে। একই সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন পরের বলটি কে মোকাবিলা করবেন।’
এই আউট নিয়ে ফখরও কথা বলেন। এতে ডি ককের কোনও দোষ খুঁজে পাননি পাকিস্তানি ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাকেও পাশে পাচ্ছেন ডি কক। ম্যাচ শেষে প্রথম জয়ের স্বাদ পাওয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘ডি কক কোনও নিয়ম ভাঙেনি। এখানে সে দারুণ চতুরতা দেখিয়েছে।’