খেলাধুলা

দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিরিজ বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের

ইমার্জিং দলের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ৬ উইকেটে জিতেছে তারা। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ তে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ নিশ্চিত করলো নিগার সুলতানার দল।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রিতু মনি, রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তারের দুরন্ত বোলিংয়ে একশও পেরুতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৩.৩ ওভারে মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ২৮ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৯৩ রান করে স্বাগতিকরা।

সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে নেমে বেশ সতর্ক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দেখেশুনে এগোতে থাকে তাদের ব্যাটসম্যানরা। নবম ওভারের প্রথম বলে আন্দ্রি স্টেইনকে (১৯) ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন নাহিদা। পরের ওভারে রিতু টানা দুই বলে আন্নেরি ডার্কসেন (২) ও ফায়ে টুন্নিক্লিফকে (০) মাঠছাড়া করেন।

উইকেট যাওয়া আসার মিছিল কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিল। তবে আবার বিপর্যয় শুরু হয় নন্ডুমিসো শঅংগাসে (১১) রান আউট হলে। নাহিদা দুই ওভারে তিন বলের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে নেন। ৪৯ রানে ৬ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আন্নেকে বোস একাই লড়াই চালিয়ে যান। ২৬তম ওভারে আরেকটি জোড়া আঘাত লাগে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনে। রাবেয়া পান তিন বলে মাইকেলা অ্যান্ড্রুস (১৮) ও জেড ডে ফিগুয়েইরেডোর (০) উইকেট। প্রায় দেড় বছর মাঠে নামা এই বোলার তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন নোবুলুমকো বানেটিকে (১) ফিরিয়ে।

ব্যক্তিগত ইনিংস সেরা ৩০ রান করা বোসকে নিগার সুলতানার ক্যাচ বানিয়ে সফরকারীদের গুটিয়ে দেন রিতু। ৭.৩ ওভারে ১ মেডেনে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ডানহাতি পেসার। সমান সংখ্যক উইকেট পান নাহিদা ও রাবেয়া।

ছোট লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় ওভারেই শারমীন সুলতানাকে (৩) হারায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নিগারও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে। ২৮ রানের জুটি গড়ে তিনি ফিরে যান ১৩ রান করে।

ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে মুর্শিদা ও ফারজানা হকের জুটিতে। ফারজানা ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। মুর্শিদাও ৪ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পাননি। ৭১ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি, তার ইনিংসে ছিল ৭ চার। টার্গেট থেকে ৬ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন এই ওপেনার। রুমানা আহমেদ (২*) ও লতা মন্ডল (৬*) ক্রিজে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

১১ ও ১৩ এপ্রিল সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ হবে সিলেটেই।