খেলাধুলা

অপ্রতিরোধ্য শান্ত-মুমিনুলে প্রথম দিন বাংলাদেশের

সাইফ হাসান শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন। সেই ধাক্কা সামলে দলকে চালকের আসনে নিয়ে যান তামিম-শান্ত। প্রথম সেশনে সাইফের উইকেট ছাড়া আর কোনো বিপদ ঘটেনি। বাংলাদেশ তোলে ২৭ ওভারে ১০৬ রান। দ্বিতীয় সেশনেও দারুণ খেলছিলেন সফরকারীরা। কিন্তু নার্ভাস নাইন্টিজে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপর খেলার হাল ধরেন শান্ত-মুমিনুল। দ্বিতীয় সেশনে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৯৪ রান। বাংলাদেশের স্কোর হয় ২০০। 

শান্ত-মুমিনুল দেড়শ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দিন পার করে আসেন। শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি আর মুমিনুল ১৪তম অর্ধশতক। তৃতীয় ও শেষ সেশনে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় আরও ১০২। প্রথ দুই সেশনে দুই উইকেট হারালেও এই সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান। শান্ত ২৮৮ বলে ১২৬ ও মুমিনুল ১৫০ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন। 

বাংলাদেশের ৩০০

প্রথম ইনিংসে ৫৩২ বলে ৩০০ রান করেছে বাংলাদেশ। শান্ত-মুমিনুলের অবিচ্ছেদ্য দেড়শ রানের জুটিতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে এই রান করতে সক্ষম হন রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। এর আগে ২০০ রান করতে খেলেন ৩২০ বল আর প্রথম ১০০ রান করতে লাগে ১৪২ বল।

শান্তর সেঞ্চুরির পর মুমিনুলের হাফসেঞ্চুরি  

তামিমের অর্ধশতক, শান্তর শতকের পর এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধশতক। ১১৭ বলে ৫টি চারের মারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন মুমিনুল। 

এবার তৃতীয় উইকেটে শতরানের জুটি

দ্বিতীয় উইকেটের পর এবার তৃতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছে বাংলাদেশ। এই জুটির কারিগর শান্ত-মুমিনুল। এখন পর্যন্ত দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ২৫৮ বলে আসে ১২৩ রান। ২১৪ বলে তারা ১০০ করেন। তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ ২৩৬ রানের জুটির রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। এটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে। সেবার কারিগর ছিলেন মুমিনুল-মুশফিক।

শান্তর সেঞ্চুরি, এগোচ্ছে বাংলাদেশ  

সাইফ হাসান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরায় শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে আসেন শান্ত। দেখে-শুনে ধীরে-সুস্থে ব্যাটিং করে তামিমকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। গড়েছিলেন ১৪৪ রানের জুটি। প্রথম অর্ধশত রান করতে খেলেন  ১২০ বল। তামিম আউট হলে মুমিনুলের সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়ে ২৩৫ বলে শান্ত ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। এর আগে ৬টি টেস্ট খেলা শান্তর সর্বোচ্চ রান ছিল ৭১। তামিম নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আউট হলেও শান্ত পথ হারাননি। তার লম্বা ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। 

অর্ধশত রানের জুটিতে শান্ত-মুমিনুলের লড়াই

তামিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন মুমিনুল । আগেই থিতু হওয়া শান্তকে সঙ্গ দেন দারুণ ভাবে। চা বিরতির আগে এই জুটি পূর্ণ করে ২০০। দুজনের তৃতীয় উইকেটে অর্ধশতাধিক রানের জুটিতে লড়ছে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতেই ক্রিজে আসা শান্ত আছেন সেঞ্চুরির পথে। এখন পর্যন্ত দুজনের জুটি থেকে আসে ১৮১ বলে ৮৪ রান। 

চা-বিরতির আগে দুইশর চূড়ায় বাংলাদেশ  

ইনিংসের ৫৩ ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২০০ রান পূর্ণ করেন শান্ত। এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। এর আগে তামিম-শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৩ ওভার তিন বল খেলে ১০০ রান করে বাংলাদেশ। এর পরেই দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে চা বিরতিতে যায় দুই দল। 

এর আগে প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করেছিল সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশনে আসে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান। আক্ষেপ হয়ে থাকবে নব্বইয়ের ঘরে তামিমের আউট হওয়া। শান্ত ৭৮ ও মুমিনুল ২১ রানে অপরাজিত আছেন। কোনো উইকেট না হারিয়ে দিনের বাকি সেশনটি কাটিয়ে দিতে পারলে দিনটি হয়ে থাকবে শুধু বাংলাদেশের। 

এবার শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ

তামিম আউট হয়ে গেলেও শান্তর ব্যাটিংয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন সামনের দিকে। সিঙ্গেলস-ডাবলসের সঙ্গে হাঁকাচ্ছেন দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি। মুমিনুলও খেলছেন স্বাভাবিক খেলা। দুজনের তৃতীয় উইকেটের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৩৩ রান।

নার্ভাস নব্বইয়ে আউট তামিম 

সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থেকে সাজঘরে ফেরেন তামিম। তিনি ১০১ বলে ৯০ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর এক্সটা বাউন্স বলে স্লিপে থিরামান্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। নার্ভাস নব্বইয়ে গিয়ে ব্যর্থ হলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ইনিংসের প্রথম ওভারে সুরাঙ্গা  লাকমালের বলে মিডউইকেটে দৃষ্টিনন্দন শটে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তামিম, এক বল ডট দিয়ে আবারো চার। এবার স্কয়ার লেগে। এভাবেই আগ্রাসী শুরু করে লঙ্কান বোলারদের মনোবলে আঘাত করেন। দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ আউট হলেও তামিম ক্ষান্ত হননি; তিনি তার খেলা চালিয়ে যান সহজাত ভঙ্গিমায়। নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়ে তোলেন দারুণ জুটি। শান্তও সঙ্গ দেন দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতোই। তামিম ক্যারিয়ারের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ৫২ বলে। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে; কিন্ত পারলেন না। তামিম সর্বশেষ শতক হাঁকিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। তার ১০১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫টি চারের মারে। 

সপ্তম সর্বোচ্চ জুটি 

তামিম-শান্তর ব্যাট থেকে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ১৪৪ রান। এতে তামিমের অবদান ৮২ আর শান্তর ৫১। ৯০ রান করে তামিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের সপ্তম সর্বোচ্চ জুটি। ২৩২ রানের জুটি গড়ে সবার ওপরে আছেন শামসুর রহমান-ইমরুল কায়েস। তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে এই জুটি গড়েন। 

এবার শান্তর হাফসেঞ্চুরি

তামিমের পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাইফ সাজঘরে ফেরায় কার্যত শুরু থেকেই ব্যাট করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তামিমকে দারুণ সঙ্গ দেওয়ার সঙ্গে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ১২০ বলে ৭টি চারের মারে। 

শতরানের জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ  

দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-শান্তর শতাধিক রানের জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুজনের জুটি থেকে ১৭৫ বলে ১১২ রান আসে। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ  জুটি ২৩২ রানের। এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সর্বোচ্চ রানের জুটিতে গড়েছিলেন শামসুর রহমান-ইমরুল কায়েস। ২০১৪ সালের চট্টগ্রামে তারা এই রান করেন।

প্রথম সেশন বাংলাদেশের

তামিম-শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে এগিয়ে বাংলাদেশ। শুরুতেই সাইফের উইকেট হারানো ছাড়া আর কোনো বিপদ ঘটেনি। দুজনের দ্বিতীয় উইকেটের জুটি থেকে আসে ১৫২ বলে ৯৮ রান। তামিম ৭২ বলে ৬৫ ও শান্ত ৮৬ বলে ৩৭ রান করে ক্রিজে আছেন। প্রথম সেশনের ২৭ ওভারে ১০৬ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় মুমিনুল হকের দল। 

তামিম-শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশের ১০০ 

বাংলাদেশ প্রথম ৫০ রানের দেখা পেয়েছে ৭০ বলে। দ্বিতীয় ফিফটি করে দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে নিতে লাগে আরও ৭১ বল। তামিম-শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৩ ওভার তিন বল খেলে ১০০ রান করে বাংলাদেশ। তামিম ইতিমধ্যে হাফসেঞ্চুরি করেছেন, শান্ত হাফসেঞ্চুরির পথে। 

তামিমের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এটি তার ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৫২ বলে ১০টি চারের মারে ৫০ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। 

তামিম-শান্তর দারুণ জুটি 

শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা ভালোভাবে সামলে ওঠে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম তিনে নামা শান্তকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামলে তোলেন। তামিম ইতিমধ্যে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফসেঞ্চুরি। শান্তও খেলছেন দারুণ। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ১১৯ বলে ৭৫ রান। 

দুর্দান্ত তামিমে বাংলাদেশের ফিফটি

শুরুতেই সাইফ সাজঘরে ফিরলেও দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তার দারুণ ইনিংসে ১১ ওভার ৪ বলেই ফিফটির দেখা পায় বাংলাদেশ।মাত্র ৩৭ বলে ৯টি চারের মারে ৪৩ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

সুযোগ কাজে লাগতে পারলেন না সাইফ 

ওপেনার সাদমান ইসলামের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন সাইফ হাসান। সর্বশেষ টেস্টে সাদমান ফিফটি করেছিলেন। দল থেকে ছিটকে পড়েন ইনজুরির কারণে। কিন্তু সাদমানের পরিবর্তে একাদশে এসে সাইফ সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। এখন পর্যন্ত খেলা তিন টেস্টের ৫ ইনিংসে সাইফের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তার মধ্যে দুটি শূন্য। সর্বশেষ খেলেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে ঘরের মাঠে।

 

শুরুতেই সাজঘরে সাইফ 

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ওপেনার সাইফ হাসান ফেরেন সাজঘরে। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ফার্নান্দোর লেংথ বল সাইফের ফ্রন্ট প্যাডে লাগলে জোড়ালো আবেদন করেন ফিল্ডাররা; তবে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা রিভিউ নিলে সাইফকে আউট দিতে বাধ্য হন আম্পায়ার। 

টস

পাল্লেকেলেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়।

তিন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ

পাল্লেকেলের ২২ গজে পেসাররা সুবিধা পাবেন এমন ধারণা আগে দিয়ে রেখেছিলেন মুমিনুল হক। তাইতো দল বাছাইয়ে পেসারদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। দলে রয়েছেন মিরাজ ও তাইজুল। এছাড়া ছয়জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের সঙ্গে মিরাজ আছেন অলরাউন্ড ভূমিকায়। 

বাংলাদেশ দল

মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাশ, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, আবু জায়েদ রাহী, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ হাসান। 

ফিরলেন ম্যাথুজ

ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পর ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার ফিরলেন একাদশেও। 

শ্রীলঙ্কা দল 

দিমুথ করুণারত্নে, লাহিরু থিরিমান্নে, ওশাডা ফার্নান্ডো, পাথুম নিশানকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নিরোশান ডিকবেলা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, সুরাঙ্গা লাকমল, বিশ্ব ফার্নান্ডো, লাহিরু কুমারা।

পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের টেস্ট ‘অভিষেক’

শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে দুইটি টেস্ট ভেন্যু। একটি আসগিরিয়া স্টেডিয়াম। আরেকটি পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ আসগারিয়ায় টেস্ট খেলেছিল। ওই বছরের পর আসগারিয়ায় কোনো টেস্ট ম্যাচ হয়নি। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক হলো। এখানে ২০১৩ সালে একটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ স্বাগতিক দলকে হারালেও টি-টোয়েন্টিতে পারেনি। বিশাল এ স্টেডিয়ামে সাত টেস্টে শ্রীলঙ্কার জয় মাত্র ১টিতে। 

পরিসংখ্যান শ্রীলঙ্কার পক্ষে

টেস্টে এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় একটিই। ২০১৭ সালের সফরে প্রথম টেস্টে গলে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের শততম টেস্টে স্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। বাকি ১৯ টেস্টে ড্র ৩টি, শ্রীলঙ্কার জয় ১৬টিতে। 

চাপহীন ক্রিকেট খেলার মন্ত্র বাংলাদেশের

ক্যান্ডি টেস্টের আগে শেষ ১০ টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১টি। বাকি সবকটিতে হার। ঘরের মাঠে কিছুদিন আগেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলের কাছে। নতুন সাফল্য না আসায় হারের ক্ষতগুলো এখনও শুকায়নি। দলকে সাফল্যে ভাসানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আতিথেয়তা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে চাপহীন ক্রিকেট খেলার মন্ত্র বাংলাদেশের। দলীয় অধিনায়ক মাঠে নামার আগে বলেছেন, ‘আমরা কোনো চাপে নেই। আমরা এখানে ম্যাচ জেতার জন্য এসেছি। আমরা পুরোপুরি চেষ্টা করবো ম্যাচ জেতার জন্য।’