খেলাধুলা

নিষ্প্রাণ উইকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট নিষ্ফলা ড্র হয়েছে। তুলনামূলকভাবে নিউ জিল্যান্ড সফরে ধবলধোলাই হবার পর বাংলাদেশের জন্য বেশি স্বস্তির।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজে নিজ দলের শক্তি অনুযায়ী উইকেট তৈরি করা এখন সর্বজনবিদিত। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টেস্ট দলের দুর্বল স্থান সবুজ ঘাসের পেস-বাউন্সি উইকেট, সেটাই ভাবা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা ৪ জন পেসার, বাংলাদেশ ৩ পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে উইকেটে না ছিল পেস, না কোনও কঠিন বাউন্স, সিম মুভমেন্ট আদৌ ছিল না। সময়ের সঙ্গে উইকেট শুষ্ক হয়ে স্পিনারদের কোনও সহায়তা করেনি। এমন উইকেটে কোনও টেস্ট দল দুইবার ১০ উইকেট হারাবে সেটি কল্পনার অতীত। 

এই উইকেটে যা হতে পারে তাই হয়েছে। বাংলাদেশ প্রথম ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ৬৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঝটপট দুটি উইকেট তুলে নিলেও তামিম ইকবাল (৭৪*) ও মুমিনুল হক (২০*) ম্যাচের পরিসমাপ্তি টানেন।

৫ দিনের ১৫ সেশনে ১৭ উইকেট পড়েছে। এই ম্যাচটি শুধু মাত্র ২০১৭ প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ভারত শ্রীলঙ্কা টেস্টের সঙ্গে তুলনা চলে। সেই টেস্টে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ৯৫২ রানের বিশ্ব রেকর্ড করেছিল। জানি না কেন কী ভেবে শ্রীলঙ্কা এমন উইকেট তৈরি করলো।

বাংলাদেশ প্রাপ্তি তামিম (৯০ ও ৭৪*), মুমিনুল (১২৭ এবং ২০*), মুশফিকের (৬৮*) পাশাপাশি নাজমুল হোসেন শান্ত (১৬৩) ও লিটনের (৫০) ভালো ব্যাটিং আর তাসকিন আহমেদের চমৎকার বোলিং। বোলারদের গোরস্থান উইকেটে কোনও বোলারকে মূল্যায়ন অনুচিত। তবুও বলবো তাসকিন যেভাবে বোলিং করেছেন, ভাগ্য একটু সহায় হলে ৫-৬ উইকেট তুলে নিতে পারতেন।

ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের এই মাঠেই শেষ টেস্ট হবে, হয়তো উইকেটটি এমন হবে যেন অন্তত ব্যাটসম্যান-বোলারদের জন্য কিছু থাকে। বাংলাদেশকে ভাবতে হবে কীভাবে শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেট নেওয়া যায়। উইকেটে আবু জায়েদ রাহীর জন্য কিছু ছিল না। দ্বিতীয় টেস্টে শরিফুল ইসলামকে নেওয়ার কথা বিবেচনা করা যায়। শরিফুল-তাসকিন রসায়ন ভালো হতে পারে। সাইফকে আরও একটি সুযোগ দেওয়া যায়। দুই ইনিংসে দুটি ভালো বলে আউট হয়েছেন তিনি। তরুণ খেলোয়াড়কে একটি সুযোগ দিয়ে বাদ দেওয়া সমীচীন হবে না।

লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ক্রিকেট লেখক