খেলাধুলা

আরও ভালো উইকেটের আশায় সুজন

ওয়ালটন-শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র'তে নিস্পত্তি হয়েছে। ম্যাচ শেষে আলোচনায় ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিস্প্রাণ উইকেট। ব্যাটিং স্বর্গে ব্যাটসম্যানদের রাজত্বে অসহায় ছিলেন বোলারর। বলের পর বল করে গেছেন তবুও যথাসময়ে দেখা মেলেনি উইকেটের। এই সফরে বাংলাদেশের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রত্যাশা দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট হবে আরও ভালো ও প্রতিযোগিতামূলক।

'আমাদের বোলিং আক্রমণের চেয়ে ওদের পেস বোলিং আক্রমণ বেশি অভিজ্ঞ। হয়তোবা আমরা স্পিনারদের দিক থেকে অভিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পেস বোলারদের দিক দিয়ে ওরা অভিজ্ঞ। ওরাও কিন্তু এখান থেকে উইকেট তুলতে পারেনি। পুরো পাঁচ দিন শেষে আমরা দেখলাম মাত্র ২০টা (আসলে ১৭টা) উইকেটের মত পড়েছে। আমি বলবো যে টেস্ট ক্রিকেটে রেজাল্ট অরিয়েন্টেড উইকেট এটা না। আমরা আশা করছি পরের ম্যাচে এর থেকে ভালো উইকেট পাবো।'

এই টেস্টে টেস জিতে আগে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই দিন শ্রীলঙ্কা দুটি করে উইকেট নিয়েছে। তৃতীয় দিন ইনিংস ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিন উইকেট। একই দিন শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং করতে নামলে তাদের তিন উইকেট নেয় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন একটি উইকেটও নিতে পারেননি তাসকিন-মিরাজরা। পঞ্চম ও শেষ দিন সবচেয়ে বেশি ৭টি উইকেট পড়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছে এক সেশন, শ্রীলঙ্কা নামতেই পারেনি। এর আগেত টেস্ট ড্র হয়। সুজন আশা করছেন এবার পেস সহায়ক উইকেট হবে।   সুজন বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এই ম্যাচের উইকেট একদম ফ্ল্যাট ছিল। যেখানে এই কন্ডিশনে, এই উইকেটে টেস্ট ম্যাচের ফল হওয়া খুবই কঠিন। তবে আমি মনে করি এরপরে আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে। সেটা এখনই বলা যাবেনা উইকেট না দেখে। কালকে আমরা মাঠে যাবো আশা করি, সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানিনা। হয়তো স্পিন উইকেট হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই ফ্ল্যাট উইকেট হবেনা বলে আমি মনে করি।'

প্রথম ম্যাচের মতো ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে হবে দ্বিতীয়টিও। এটি শুরু হবে ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। এই ম্যাচেও বাংলাদেশের টিম লিডারের প্রত্যাশা ভালো কিছুর।

সুজন বলেন, পরের ম্যাচ বাকি, এরপর জিম্বাবুয়ে যাবো আমরা। আমরা যেন একটা প্রপার টেস্ট টিম হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, এই ছেলেরাই যেন নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। আমরা যদি এভাবে টেস্ট ম্যাচে প্রতিযোগিতা করতে পারি, একটা বছর যদি অন্তত ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি ব্যাটসম্যানরা উপর থেকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে তাহলে একটা সময় আসবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখবো।