ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট। যার পরতে পরতে রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা। পাঁচ দিনের খেলায় সেশন ধরে ধরে টিকে থাকার প্রাণপণ লড়াই। ব্যাটসম্যান হলে ক্রিজে থেকে রান তোলার চেষ্টা আর বোলার হলে উইকেটের জন্য মরিয়া। এই টেস্ট ক্রিকেটের প্রেমে মজেছেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম।
ওয়ালটন শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ টেস্টের স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছিলেন শরিফুল। প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা পাননি। তবুও খুব কাছ থেকে দেখায় টেস্টের রোমাঞ্চে মুগ্ধ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার।
শরিফুলের ভাষায়, 'এত কাছ থেকে টেস্ট খেলা আমি কখনো দেখিনি, আমার জন্য খুবই আনন্দের ছিল। টেস্ট খেলাটা আসলে মজার খেলা, প্রতি সেশনে সেশনে ধরন পাল্টায়, বার্তা পাঠানো হয়। আমার মনে হয়নি যে আমি ম্যাচের বাইরে আছি। সব সময় মনে হচ্ছিল আমি ম্যাচ খেলছি।'
প্রথম টেস্টের ১৫ জনের স্কোয়াডে ছিলেন শরিফুল। তবে একাদশে খেলেছেন আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াড এখন পর্যন্ত ঘোষণা হয়নি। শরিফুলের কাছে টেস্ট ক্রিকেট যেমন মজার, তেমন রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে, একইসঙ্গে কঠিনও লেগেছে। মায়া লেগেছে সতীর্থদের জন্য।
'টেস্ট খেলাটা একটু কঠিন, যে পরিবেশে খেলা হচ্ছিল তা কষ্টের। পেস বোলারদের একটু পরপর পানি খাওয়ানো, তাদের সঙ্গ কথা বলা, তাদের কাছ থেকে কিছু জানা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যে রকম মজার আছে সেরকম ওদের একটু কষ্টও আছে। তো এটা (কষ্ট) আসলে খেলারই অংশ, এটা আমাদের হাতে নেই। এটা জয় করে আমাদের ভালো কিছু করতে হবে।'
যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার জানালেন, 'টেস্ট দলে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটাই দেবেন। তিনি বলেন, 'আসলে আমি যখন খেলা শুরু করছি, তখনই আমার চিন্তা ছিল তিন ফরম্যাটে খেলবো। এখন যদি আমি টেস্ট খেলি কখনও, তখন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।'