খেলাধুলা

আইসিসির এপ্রিলের সেরার দৌড়ে বাবর, ফখর, কুশল

আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে মনোনয়নে গত তিনবারই ছিল ভারতীয়দের আধিপত্য। প্রত্যেকবারই এই পুরস্কার উঠেছে ভারতের কোনও ক্রিকেটারের হাতে- ঋষভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ভুবনেশ্বর কুমার। এবারের মনোনীত তালিকায় দাপট দেখালো পাকিস্তান। এপ্রিলের সেরার লড়াইয়ে বাবর আজম ও ফখর জামান আছেন, অন্য জন নেপালের কুশল ভুর্টেল।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলেন বাবর। পাকিস্তানকে সিরিজ জেতানোর পথে ১০৩ ও ৯৪ রানের দুটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন, হন দুইবার ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। ১০৪ স্ট্রাইক রেটে ২০৮ রান নিয়ে সিরিজ শেষ করেন তিনি। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিতে ভারতের বিরাট কোহলিকে সরিয়ে ওয়ানডের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হন। জহির আব্বাস, জাভেদ মিয়াঁদাদ ও মোহাম্মদ ইউসুফের পর চতুর্থ পাকিস্তানি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন বাবর।

একই সময়ে সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চারটি ও জিম্বাবুয়েতে তিনটি। ৪৩.৭৫ গড় ও ১২৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে করেন মোট ৩০৫ রান। দুটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়াও সেঞ্চুরিয়নে খেলেন ৫২ বলে ১২২ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে নেমে সর্বোচ্চ ১৯৭ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে।

তার সতীর্থ ফখরও ছিলেন অবিশ্বাস্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে ১১১.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ১০০.৬৬ গড়ে করেন ৩০২ রান। ওই সিরিজে ছিল দুটি সেঞ্চুরিও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেন ১৯৩ রান। এই দুটি সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে ব্যাটসম্যান র‌্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা সপ্তম স্থানে ওঠেন তিনি।

দুই পাকিস্তানির সঙ্গে এবার সেরা হওয়ার দৌড়ে লড়বেন নেপালের কুশল। এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান টানা তিনটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম। ২৪ বছর বয়সী কুশল নেদারল্যান্ডস ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নেপালের ত্রিদেশীয় সিরিজে ২৭৮ রান করে শীর্ষে ছিলেন। মোট হাফ সেঞ্চুরি চারটি।

দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্স দিয়ে ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ে একশজনের মধ্যে ঢুকে গেছেন কুশল, অবস্থান ৯৩ নম্বরে।

মেয়েদের মাসসেরা হওয়ার লড়াইয়ে এবার আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি, মেগান স্কুট ও লেইঘ কাসপেরেক। তিনজনই প্রথমবার এই তালিকায় ঠাঁই পেলেন।

মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে ভক্তদের সঙ্গে যোগ দেবে সাবেক খেলোয়াড়, ব্রডকাস্টার ও সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত একটি স্বতন্ত্র আইসিসি ভোটিং অ্যাকাডেমি। ভোটিং অ্যাকাডেমিতে থাকছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিক, সাবেক খেলোয়াড় ও ব্রডকাস্টাররা। ই-মেইলের মাধ্যমে ভোট দেবেন তারা, ৯০ শতাংশ ভোট থাকবে তাদের হাতে।

আর শুধুমাত্র নিবন্ধিত ভক্তরা আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রত্যেক মাসের প্রথম দিন ভোট দেবেন, তাদের ভোটিং শেয়ার ১০ শতাংশ। আইসিসির ডিজিটাল চ্যানেলগুলোতে প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় সোমবার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।