খেলাধুলা

‘প্রতিপক্ষ পুরো শক্তির না হলে, সেটা তো আমাদের দোষ নয়’

আফ্রিকা সফরে চারটি সিরিজ খেলে সবগুলোতে জিতেছে পাকিস্তান। দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে তারা দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে সিরিজে হারিয়েছে। পাকিস্তানের এমন অবিস্মরণীয় অর্জনকে কেউ কেউ আমলে নিচ্ছে না। কারন আইপিএলের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পায়নি। আর ইনজুরিতে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেননি একাধিক সিনিয়র খেলোয়াড়। প্রতিপক্ষ কম শক্তির ছিল বলেই পাকিস্তান সাফল্য পেয়েছে, এমনটা মানতে আপত্তি কোচ মিসবাহ উল হকের।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর জিম্বাবুয়েতে যায় পাকিস্তান। সেখানেও তারা জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ে পায় ঐতিহাসিক জয়। তবে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে সফরকারীরা। এরপর দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছেন বাবর আজমরা।

প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করে মিসবাহর ব্যাখ্যা, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের দলে পায়নি কিন্তু তারা খেলেছে ঘরের মাঠে। তাদের স্থলাভিষিক্ত খেলোয়াড়রাও সামর্থ্যবান পারফর্মার। তাদের সেরা দলটার মুখোমুখি হতে না পারা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। কিন্তু নিজেদের কন্ডিশনে তারা ছিল শক্তিশালী দল। শুধু নিজের পারফরম্যান্সের দিকেই আপনি লক্ষ করতে পারেন। প্রতিপক্ষ যদি পুরো শক্তির দল না হয়, সেটা আমাদের দোষ নয়।’

দুটি সফরে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সাবেক অধিনায়কের মূল্যায়ন, ‘ফলের ভিত্তিতে দুটি সফরই (দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে) ভালোভাবে যাওয়া সত্যিই আনন্দের। দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর দেখতে পাবেন ঘরের মাঠের চেয়ে একেবারে ভিন্ন কন্ডিশন। সেখানে গিয়ে জেতা সবসময় দারুণ কিছু। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও টেস্টের পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। কিছু জায়গায় উদ্বেগের ব্যাপার ছিল, তবে ওপেনারদের ফর্ম দারুণ। ফাওয়াদ আলম সত্যিই ভালো করেছিল। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ‍উৎসাহব্যঞ্জক সংকেত।’