খেলাধুলা

দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার প্রত্যয় বাংলাদেশের

সিরিজ শুরুর আগে রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে প্রশ্নটা অনাকাঙ্খিত ছিল। চাকরি হারানোর শঙ্কা করছেন কী তিনি? দল তার অধীনে শেষ দশ ম্যাচে জয়হীন। মাঠের পারফরম্যান্স হতশ্রী। খেলোয়াড়রা চাপে আছেন নিশ্চয়ই। কোচ কী চাপে নেই? তার সামর্থ্য নিয়ে কথা উঠছে নিয়মিত। বিসিবির একাধিক পরিচালকও ‘বিরক্ত’। টুকটাক কথা তো ডমিঙ্গোও শুনেছেন। সেসব নিয়ে কী দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ উদ্বিগ্ন? 

সিরিজ শুরুর আগে এমন অনাকাঙ্খিত প্রশ্ন বিরক্ত-ই করলো ডমিঙ্গোকে। তবুও ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উত্তর দিতে হলো হাসিমুখে, ‘কোচরা মাঠে গিয়ে খেলেন না, রান করতে পারেন না, উইকেট নিতে পারেন না। কিন্তু একটু ভুল করলেও মানুষ কানাঘুষা শুরু করবে। তাই কোচ হিসেবে চাপ থাকবেই। আমার কাজ হল দলকে ঠিকমত প্রস্তুত করা, ছেলেদের সাহস জোগানো আর তাদের মনোবল দৃঢ় রাখা।’

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দশ ম্যাচ হার মানে কঠিন সময় যাচ্ছে বাংলাদেশের। সেই দুঃসময় পেরিয়ে আলোর মুখ দেখতে বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কা বাঁধা। সিংহের দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় দিবারাত্রির ম্যাচ শুরু দুপুর ১টায়। 

দুঃস্মৃতি ভুলে সামনে তাকিয়ে বাংলাদেশের কোচ। দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার প্রত্যয় তার কণ্ঠে, ‘আমরা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সন্দেহ নেই। তবে ভুল থেকে শিখতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অতীতে পড়ে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে, বেসিক ঠিক রাখতে পারলে, কৌশল কাজে লাগালে জয়ের সুযোগ আসবে।‘

বাংলাদেশ ও ডমিঙ্গোকে আত্মবিশ্বাস জুগাচ্ছে দলের সেরা তারকা সাকিব আল হাসান ফেরায়। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারাকে নিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘অবশ্যই সাকিবের ফেরা স্বস্তির বিষয়। গত কয়েক বছর ধরে তাকে নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমন জায়গায় খেলা অনেক কঠিন। তাই তার মত অভিজ্ঞ কাউকে পাওয়া বড় প্রাপ্তি। তাকে খেলতে দেখতে মুখিয়ে আছি।’

তবে ঘরের মাঠে সাকিবরা খেলছেন বলে ডমিঙ্গো এগিয়ে রাখলেন শিষ্যদের। তার ভাষ্য, ‘আমরা দুইটি দল প্রায় সমান সমান। তবে স্বাগতিক সুবিধা বলে একটি কথা আছেই। আমরা দেশে অনেক ভালো খেলি। তবে শ্রীলঙ্কাকে অবমূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। অনেক ভালো কিছু খেলোয়াড় নিয়ে এসেছে ওরা। তারা নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে থাকবে।’

আইসিসি ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগের তিন ম্যাচ খেলবে দুই দল। প্রতি ম্যাচে বরাদ্দ ১০ পয়েন্ট। ম্যাচ হারলেই ১০ পয়েন্ট হাতছাড়া। জিতলেই মিলবে ১০ পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশের পুঁজি আছে ৩০ পয়েন্ট। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে হারিয়েছে ৩০ পয়েন্ট। 

দুই দলের জন্যই এই সিরিজটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। অতিথি দলের অধিনায়ক কুশল পেরেরার কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী সুর, ‘আমরা তরুণ দল নিয়ে এসেছি। তবে প্রত্যেকেই সামর্থ্যবান। যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি তাহলে ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে পারি।’ ডমিঙ্গোও এ সিরিজে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে চায়, ‘জয় সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। এখানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নেওয়ার আছে।’