খেলাধুলা

যে ভাবনা বদলে দিয়েছে মিরাজকে

ওয়ানডের বোলার র‌্যাংকিংয়ে দুইয়ে উঠে এসে অবাক বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জায়গায় আসতে পারবেন তা কোনোদিন কল্পনা করেননি। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসান ও পরের বছর আবদুর রাজ্জাকের পর তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে মিরাজ।

১১ বছর পর বোলার র‌্যাংকিংয়ের প্রথম দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশের। তাতে অনেক উৎফুল্ল ডানহাতি স্পিনার। এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ বললেন অনুভূতির কথা, ‘র‌্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে আসতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমি কখনও ভাবিনি ওয়ানডেতে বোলার র‌্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে আসবো। আমার তো অনেক আনন্দ লাগছে।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে ৭ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। তাতে হালনাগাদ করা সাপ্তাহিক র‌্যাংকিংয়ে তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে তার।

মিরাজের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল ঈর্ষণীয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা দেন। এরপর সাদা পোশাকে বাংলাদেশের ভরসার নাম হয়ে ওঠেন তিনি। ২৬ টেস্টে ১০৪ উইকেট পেয়ে মিরাজ নিজের অবস্থান শক্তও করেছেন। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার শুরুটা তত ভালো হয়নি। জায়গা হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে মিরাজ নিজের পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পান।

সেই কথা মনে করালেন মিরাজ, ‘আমি ধারাবাহিক ওয়ানডে খেলছি ২০১৮ সাল থেকে, যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছিল। আমরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলাম সেখানে। এরপর এশিয়া কাপ, দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ও বিশ্বকাপেও অংশ নেই। এই ছোট ছোট পারফর্মগুলো করতে করতে আজকে ভালো অবস্থানে এসেছি।’

একটি ভাবনা বদলে দিয়েছিল মিরাজকে। সেটাই প্রকাশ করলেন টানা দুই ম্যাচে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিতের পর, ‘আমি নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করেছিলাম যে, আমি যদি উইকেট নাও পাই ব্যাটসম্যান যেন আমাকে মারতে না পারে, আমার ওপর আগ্রাসী হতে না পারে। আমি যেন দলের প্রয়োজনে যে কোনও সময় রান চেক দিয়ে দুই একটা উইকেট বের করতে পারি। ওই চেষ্টা করেছি। ছোট ছোট জিনিসই অনেক সময় পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি এভাবেই সফল হয়েছি।’

দল, সতীর্থ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সহায়তায় এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে, ‘আমার সতীর্থরা আমাকে সহযোগিতা করেছে। এটা আসলে অনেক বড় পাওয়া। দলের সবাই যখন সহায়তা করে, সেটা অনেক কাজে লাগে। ভালো-খারাপ মুহূর্ত সব খেলোয়াড়ের যায়। কিন্তু সতীর্থরা পাশে থাকলে কাজ সহজ হয়ে যায়। আমি সতীর্থ, টিম ম্যানেজমেন্টের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা আমার খারাপ সময়ে খুব ভালোভাবে সাপোর্ট করেছে।’