খেলাধুলা

ফিটনেসের সেরা পর্যায়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ

যে কোনও খেলাতেই ফিটনেস বড় একটা ব্যাপার। হঠাৎ করে ফিটনেস হারিয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অকালে ঝরে পাওয়ার ঘটনা দেখা যায়। তাই ফিটনেস নিয়ে কাটাতে হয় বাড়তি সময়; দিতে হয় পুরো মনোযোগ। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন ফিটনেসহীনতায়। তবে গত কয়েক মাসের সর্বোচ্চ চেষ্টায় ফিটনেসের সেরা পর্যায়ে নিজেকে ফিরিয়েছেন বলে তিনি জানালেন।

নিউ জিল্যান্ড সফরে মাহমুদউল্লাহ ভুগেছিলেন ব্যাক পেইনে। তিন ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেললেও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন না। তার বদলে নেতৃত্ব দেন অধিনায়কত্বে অনভিজ্ঞ লিটন দাস। এরপর দল শ্রীলঙ্কা যায় দুই টেস্ট খেলতে। এই সফরে যাননি মাহমুদউল্লাহ, সময়ও নষ্ট করেননি। পুনর্বাসনে চলে যান এবং ফিরে এসেছেন পুরো ফিট হয়ে।

নিজের ফিটনেসে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। শেষ ওয়ানডের আগের দিনে গণমাধ্যমের কাছে আত্মতৃপ্তির কথা জানালেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস লেভেলে আমি আছি। এটা নিয়ে গত দুই তিন বছর ধরে আমি কাজ করছি। ফিট থাকার চেষ্টা করছি, রানিং হোক, জিম হোক, এক্সট্রা রানিং, এক্সট্রা জিম... ব্যালেন্সিং কাজ আমার অনেক বেশি করা লাগে। এই জিনিসগুলো আমি করার চেষ্ট করি। চেষ্টা করি যেন ফিটনেসটা ভালো থাকে।’

মাহমুদউল্লাহর কথা-কাজের মিল দেখা গেছে মাঠের পারফরম্যান্সেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই দলের ক্রান্তিকালে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ হাফসেঞ্চুরি (৫৪) পেয়েছিলেন; দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির কাছে গিয়ে (৪১) ফিরে এসেছেন। সবকিছু মিলিয়ে ঝরঝরে মাহমুদউল্লাহকে দেখা গেছে মাঠে। 

ব্যাটিংয়ে অবদান রাখতে পেরে উচ্ছ্বসিত মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি ধারাবাহিক থাকার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো অনুভব করছি। যেটা আমি সবসময় অনুভব করি, তা হলো সঠিক সময়ে দলের জন্য অবদান রাখা। যেহেতু আমি ছয় নম্বরে ব্যাটিং করছি। তো ঠিক সময়ে আমি যদি দলের জন্য অবদান রাখতে পারি সেটা আমার ও দলের জন্য ভালো। কালকে আরেকটা সুযোগ পেলে আবারও ভালো করার চেষ্টা করবো।’

ফিটনেস নিয়ে সমস্যা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বোলিং করছেন না মাহমুদউল্লাহ। সর্বশেষ বল হাতে নিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইউনিভার্সিটি ওভালে ওয়ানডে ম্যাচে। সেদিন ২ ওভারে ২৮ রান দিয়েছিলেন। এরপর কোনও ফরম্যাটেই আর বল হাতে দেখা যায়নি। অবশেষে সুখবর দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলের প্রয়োজনে দেখা যাবে বল হাতেও। অনুশীলনের দিনগুলোতেও তাকে দেখা গেছে বল নিয়ে হাত ঘোরাতে।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি বোলিংয়ে ফিরেছি। এখন যখনই দলের প্রয়োজন পড়বে আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।‘