খেলাধুলা

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সাকিবদের জয়

বল হাতে ঘূর্ণি জাদুর পর ব্যাট হাতেও রানের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৩ উইকেটে জিতেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সাকিবদের দৃঢ়তায় গোটা ম্যাচে চালকের আসনে থাকলেও শেষ দিকে টানা কয়েকটি উইকেট হারায় মোহামেডান। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ ২০১৯-২০ স্পন্সর্ড বাই ওয়ালটনের প্রথম ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ১২৬ রানের টার্গেট দেয় মোহামেডানকে। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করেন সাকিবরা।

সাকিবের ব্যাটে শেষ চার ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল মোহামেডানের। কিন্তু ১৭তম ওভার থেকে শুরু ধস। সাকিব ২২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করে ওই ওভারের তৃতীয় বলে বিদায় নেন। তার পরের দুই ওভারে ইরফান শুক্কুর, নাদিফ চৌধুরী ও শুভাগত হোম আউট হলে মোড় নেয় নাটকীয়তায়। ৫ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারায় তারা। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। শেষ পর্যন্ত প্রথম চার বলে তিনটি সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চম বলে ৬ মেরে দলকে জেতান আবু হায়দার রনি।

রনি ৮ ও ইয়াসিন আরাফাত ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ব্যাট হাতে মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সাকিবের ব্যাট থেকে ২২ বলে ২৯। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ১টি।

৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সুমন খান। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে শাইনপুকুর। সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩০ রান করেন তানজীদ হাসান। এ ছাড়া রবিউল ইসলাম ২১ বলে ২৫ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন। সাজ্জাদুল হক ১২ বলে ১৮ ও সুমন খান ১১ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে বোলিং শুরু করেছিলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ক্রিজে সেট হওয়া ব্যাটসম্যান রবিউলকে ২৫ রানে পারভেজ ইমনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান। এরপর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে প্রথম বলেই বোল্ড করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়ে তাকে।

এ ছাড়া ইয়াসিন আরাফাত নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও আসিফ হাসান।