খেলাধুলা

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতলেন তামিমরা

লক্ষ্য ১২০ বলে ১২০। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কে (৫) শুরুতে হারিয়ে ধাক্কা সামলে নেয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের দুই নির্ভরযোগ্যে ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। ২২ গজে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করছিলেন তারা। ৭.৩ ওভারে দলের রান ১ উইকেটে ৬১। 

জয় তখন মাত্র সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ম্যাচে ছিল চরম নাটকীয়তা। পরের ১৯ বলে সব ওলটপালট। নিজেদের খামখেয়ালি এবং হাসান মুরাদ ও তানবীর ইসলামের স্পিন বিষে নীল প্রাইম ব্যাংক। ভুল ডাকে তামিম ইকবাল (২৭ বলে ৩২) রান আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ মিথুনও (৬) একই পথ ধরলেন।

অপরপ্রান্তে দুই সতীর্থর বিদায় দাঁড়িয়ে দেখেছেন রনি। জয় তখনও বহুদূর। টিকে থাকা দরকার ছিল তার। কিন্তু পারলেন না। নতুন ব্যাটসম্যান অলক কাপালি (১) অভিজ্ঞতার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। নাহিদুলও (০) তাই। ১৯ বলের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে প্রাইম ব্যাংক। 

জয়ের জন্য তখন দরকার ৫৬ বলে ৪৫ রান। সেখান থেকে শাইনপুকুরের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্য শুধু কঠিন-ই নয়, অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসলো প্রাইম ব্যাংক। নাঈম হাসান ও রকিবুল হাসানের ৩৩ বলের অবিচ্ছিন্ন ৩১ রানের জুটিতে শেষ ওভারে ৩ উইকেটের জয়ের হাসি হাসেন তামিমরা। 

শেষ দিকে সুমন খানের বলে লং অফে নাঈমের ক্যাচ ছেড়েছিলেন সাজ্জাদুর রহমান। ৭ রানে থাকা নাঈম এরপর এক চার ও দুই ডাবলসে লক্ষ্য নাগালে নিয়ে আসেন। ক্রিকেটের সেই চিরন্তন প্রবাদ আবারও প্রতিষ্ঠিত হলো, ‘ক্যাচ মিস, তো ম্যাচও মিস।’ ১৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। রকিবুল ৩৪ বলে করেন ১৮ রান। 

তানবীর ১২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। হাসান মুরাদ ২৭ রানে পেয়েছেন ১টি উইকেট। পেসার সুমনের শিকার এক উইকেট।   

ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হওয়ায় স্পিনাররা পেলেন বাড়তি সুবিধা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৭ উইকেটের ১০টি স্পিনারদের দখলে। 

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্পিনারদের দাপটে বেশিদূর এগোয়নি শাইনপুকুরের রান। ১১৯ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের তিন স্পিনার নাঈম হাসান (৩), মনির হোসেন (২) ও নাহিদুল (১) নেন ৬টি উইকেট। দুই পেসার মোস্তাফিজ ও শরিফুল পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। 

টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন। ওপেনার সাব্বির হোসেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করেন। আরেক ওপেনার তানজিদ ২১ রানের মন্থর ইনিংসটি খেলেন ২৮ বলে। তিনে ও চারে নামা রবিউল (১৮) ও অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় (২৯) প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শেষ দিকে রবিউল ১৩ বলে ১৬ রান করলে শাইনপুকুরের রান কোনোমতে একশ পেরিয়ে যায়। 

প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডেও জয় পেল প্রাইম ব্যাংক। শাইনপুকুরের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ লড়াই করলেও শেষটা রাঙাতে পারেনি তারা।