খেলাধুলা

লর্ডসে অভিষেকেই সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি কনওয়ের

টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে খুব অল্প সময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ডেভন কনওয়ে। টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের সাত মাস পর পেলেন টেস্ট ক্যাপও। সেখানেও রাখলেন দারুণ ছাপ। বুধবার (২ জুন) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে এক বিরল কীর্তি গড়েছেন ‍নিউ জিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান। লর্ডসে কোনও সফরকারী দলের অভিষেক খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন কনওয়ে, যা বিশ্বের টেস্ট ইতিহাসে ঘটলো তৃতীয়বার।

এমন ঘটনা সচরাচর ঘটেনি। সেই ১৯৯৬ সালে লর্ডসে জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে শতক হাঁকান ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। একই কীর্তি ছিল তারও ১০৩ বছর আগে। ক্রিকেটের পুণ্যভূমিতে সবার আগে অভিষেকেই সফরকারী দলের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি গ্রাহাম, ১৮৯৩ সালের জুলাইয়ে। এবার গ্রাহাম ও সৌরভের পথে হেঁটে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখলেন কনওয়ে।

ওপেনিংয়ে নেমে চা বিরতির পরও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ সেশনে ১৬৩ বলে ১১ চারে শতকের দেখা পান কনওয়ে। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি অভিজ্ঞ টম ল্যাথাম (২৩), অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১৩) ও রস টেলর (১৪)। ১১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর নিউ জিল্যান্ডের হাল ধরেছেন তিনি হেনরি নিকলসকে সঙ্গে করে।

দেশের ১২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছেন কনওয়ে। এর আগে ১৪ টি-টোয়েন্টিতে চারটি হাফ সেঞ্চুরি মেরে নির্বাচকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৯৯ রানের ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্সে অপরাজিত ছিলেন। আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তিন ম্যাচই খেলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে, যার শেষ দুই ম্যাচে রয়েছে ৭২ ও ১২৬ রানের ইনিংস। এমন ব্যাটসম্যান কি টেস্ট দলের বাইরে থাকতে পারেন! নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদানও তিনি দিলেন জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে গড়া শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে।