খেলাধুলা

সাকিবের গোল্ডেন ডাক, মোহামেডানের নায়ক ইরফান

 বোলিংয়ে প্রথম ওভারে উইকেট মেডেন পাওয়ার পরও ৪ ওভারে রান ৩১। ব্যাটিংয়ে গোল্ডেন ডাক। তাসমুলের স্বপ্নের মতো এক ডেলিভারীতে বোল্ড। মিরপুরে সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠতে ব্যর্থ।

মোহামেডানের অধিনায়কের গড়পড়তা পারফরম্যান্সের পরও জয় আটকাতে পারেনি পারটেক্স। ইরফান শুক্কুরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং নাদিফ চৌধুরীর ঠান্ডা মেজাজের ইনিংসে ঢাকা লিগে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলে মতিঝিল পাড়ার দলটি।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় দিনের তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পারটেক্স ৫ উইকেটে ১৫৭ রান করে। জবাবে মোহামেডান শুরুর ধাক্কা সামলে নিয়ে ১৪ বল আগে ৬ উইকেটে জেতে অনায়েসে।

প্রথম ইনিংসে ‘অচেনা’ আব্বাস মুসা আলভী এলোমেলো করে দেন সাকিবদেরকে। ৪৪ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রান করেন ডানহাতি ওপেনার। ২০১৮ সালের যুব দলে ছিলেন এ ব্যাটসম্যান। তবে বেশিদূর এগোয়নি ক্যারিয়ার। এরপর প্রথম বিভাগ খেলে উঠে এসেছেন প্রিমিয়ার লিগে।

প্রথম ম্যাচে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৭ রান করে বড় কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু মেহেদী হাসান রানার বলে থেমে যান। আজ তাকে আটকাতে পারেননি কেউ। উইকেটের চারিপাশে দারুণ সব শট আর আগ্রাসী মনোভাবে মোহামেডানের বোলিং আক্রমণ ধসিয়ে দেন।     

তিনে নামা অধিনায়ক তাসামুল হকও দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ৫৬ বলে করেছেন ৫৯ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। তাতে বড় পুঁজি পেয়ে যায় পারটেক্স। শেষ দিকে শফিউল হায়াত হৃদয় ১১ বলে ১৮ রান করলে পারটেক্স চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দেয় সাকিবদের।

নিজের প্রথম বলে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব। পরের পাঁচ বলে কোনো রান দেননি। এরপরও ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়েছেন সাকিব। বিবর্ণ ছিলেন তাসকিনও। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় পারভেজ হোসেন ঈমন ভালো শুরু করেছিলেন। দুই ছক্কায় ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। তবে ১৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। তাসামুলের বলে এলডব্লিউ হন। তিনে নামা সাকিব কিছু বুঝে উঠার আগেই আউট। ডানহাতি স্পিনারের বল মিডল স্টাম্পে পড়ে অফস্টাম্পে ছোবল দেয়। সাকিবের চোখ ছানাবড়া।

২৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মোহামেডানের ইনিংস মেরামত করেন মাহমুদুল হাসান ও শামসুর রহমান। ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলের রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ৪ রানের ব্যবধানে দুজন সাজঘরে ফিরলে আবার চাপে পড়ে সাকিবের দল। সেখান থেকে ইরফান শুক্কুর ও নাদিফ চৌধুরী জুটি বেঁধে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

ইরফান মাত্র ২৯ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করেন। নাদিফ ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন। ৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পূর্ণ ২ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিবরা। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করা ইরফান শুক্কুর।