খেলাধুলা

সাকিবের অনুশীলনে বায়ো-বাবল ভঙ্গ, তদন্তে বিসিবি

পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা না থাকায় শুক্রবার মিরপুরের ইনডোর মাঠে ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই ম্যাচে ২৯ ও শূন্য রান করা সাকিব ব্যাটিংয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নেন। তবে তার অনুশীলন পর্ব নিয়ে উঠেছে অভিযোগ।

জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বিসিবি। ঢাকা লিগের আয়োজক সিসিডিএমও একই তদন্ত করছে। বিসিবি শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম জানিয়েছেন, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিসিবি।

তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরা হতাশ। সিসিডিএম এবং বিসিবি বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দল, ক্রিকেটার ও অফিসিয়াল নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবার আগে। জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতে আমাদের বড় পরিমাণে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে।’

গতকাল একক অনুশীলনে সাকিবের সঙ্গী ছিলেন মোহামেডানের দুই সতীর্থ স্পিনার আসিফ হাসান ও পেসার রুয়েল মিয়া। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বল থ্রো করা নাসিরকেও দেখা যায় অনুশীলনে। জানা গেছে, অনুশীলনে বল করার জন্য এসেছিলেন মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমির দুজন। তাদের সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন আরও একজন।  সাদা শার্ট পরা বাইরের সেই ব্যক্তি মোবাইলে ছবি তুলেছেন। নেট বোলারদের সংস্পর্শে যাচ্ছিলেন। যারা সাকিবের এক ঘণ্টার নেট সেশনে ছিলেন।

জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে বেশ কড়াকাড়ি অবস্থানে বিসিবি। বিসিবি নিজস্ব খরচে এ বলয় তৈরি করেছে। ১২ দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, সাপোর্টিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট এবং অফিসিয়ালদের রাখা হয়েছে ঢাকার চারটি পাঁচ তারকা হোটেলে।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেছিলেন, ‘প্রতিটি হোটেলে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা খেয়াল রাখবেন এবং যদি কোনও নিয়ম ভঙের ঘটনা ঘটে আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিও থাকবে। সেই কমিটি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রটোকল ভাঙলে কী হবে সেটা আমাদের নীতিমালায় বলা আছে।’