খেলাধুলা

কেন্দ্রীয় চুক্তি হচ্ছে আগের প্রক্রিয়ায়

কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রক্রিয়ায় যে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগের মতোই শুধু পারফরম্যান্স বিবেচনা ও ভবিষ্যৎ ভাবনা থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তি করা হচ্ছে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।

এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ঘোষণা দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় চুক্তি করার আগে ক্রিকেটারদের থেকে লিখিত নেবেন, কারা টেস্টে খেলতে চান, কারা চান না এবং দেশের খেলা বাদ দিয়ে বিদেশে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যাবেন কি না! যদি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার আগ্রহ থাকে তা যেন আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় চুক্তিও সেভাবে করবে বিসিবি।

কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে না বোর্ড। সোমবার (৭ ‍জুন) গণমাধ্যমে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘দুই একদিনের মধ্যে জেনে যাবেন কেন্দ্রীয় ‍চুক্তির ব্যাপারটা। আমরা একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করি, যা গত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে। এর বাইরে তেমন কিছু হয়নি। তবে অবশ্যই এবার পারফরম্যান্সের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’

গত বছর প্রথমবারের মতো বিসিবি লাল ও সাদা বলে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা কেন্দ্রীয় চুক্তি করে। প্রথমে ১৬ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যুক্ত করা হয় সৌম্য সরকারকে। তিন ফরম্যাটের জন্যই নির্বাচিত হয়েছেন সাত ক্রিকেটার। তারা হলেন- তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

শুধুমাত্র লাল বলের ক্রিকেটের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকেছেন চার ক্রিকেটার। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ এ তালিকায় আছেন নাঈম হাসান, দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন চৌধুরী। এছাড়া সীমিত পরিসরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার মোস্তাফিজুর রহমান, অফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাঈম শেখ।

নিষেধাজ্ঞায় সাকিব আল হাসান ছিলেন না। জানা গেছে, এবার তাকে তিন ফরম্যাটে রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তি করা হচ্ছে। এছাড়া শুধুমাত্র টেস্ট এবং ওয়ানডে বিবেচনায় তাসকিন আহমেদকে যুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমান চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন মিথুন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে সাকিব দলে ছিলেন না। দেশের খেলা বাদ দিয়ে আইপিএল খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরপরই বিসিবি নড়চেড়ে বসে। কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে কঠোর হওয়ার ঘোষণা আসে। তবে সেসব আপাতত কিছুই হচ্ছে না।

হাবিবুল বাশার এক প্রশ্নের জবাবে বুঝিয়ে দেন সাকিবকে টেস্ট চুক্তিতেও রাখা হচ্ছে, ‘একটা জিনিস পরিষ্কার হওয়া দরকার যে সাকিব আল হাসান কিন্তু কখনোই বলেনি যে সে টেস্ট খেলবে না। একটা সময় সে ছুটি চেয়েছিল, ওই সময়টা টেস্ট ম্যাচ ছিল। ওই সময়ের পরই টেস্ট থাকলে কিন্তু তিনি টেস্ট খেলতো।’

যেসব বিবেচনায় কেন্দ্রীয় চুক্তি করা হচ্ছে সে সম্পর্কে ধারণা দিলেন তিনি, ‘পারফরম্যান্স অবশ্যই বিবেচনায় আসছে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে কে বেশি খেলতে পারবে, কার থেকে পরবর্তী এক বছর বেশি সেবা পাওয়া যাবে সেসব বিবেচনায় আনা হয়েছে।’