খেলাধুলা

জয়ের ঝড়ো ফিফটি ম্লান করে জয়ে ফিরেছে গাজী গ্রুপ

মিরপুরে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ছক্কা বৃষ্টিতে মাঠ মাতালেন যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয়। ৫৫ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। বাকিরা একেবারেই নিষ্প্রভ।

জয়ের একক লড়াইয়ে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে পেরে উঠেনি ওল্ড ডিওএইচএস। ঢাকা লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় আগে ব্যাটিং করে ওল্ড ডিওএইচএস ৭ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে। জবাবে ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। শেষ ম্যাচে আবাহনীর কাছে হারের পর জয়ে ফিরলো তারা। 

জয়ের লড়াইটা ছিল পুরোপুরি একার। তার ব্যক্তিগত ৮৫ বাদ দিলে বাকিদের সম্মিলিত রান ৫১। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেছেন আলিস আল ইসলাম। ১১ রান করেন প্রীতম কুমার। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ওল্ড ডিওএইচএসের শেষ ২ ওভারে আসে ৪০ রান। তাতে লড়াকু সংগ্রহ পায় দলটি। ১৯তম ওভারে জয় ও আলিস ১টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। শেষ ওভারে জয় দুই ছক্কা, এক চার হাঁকিয়ে নিজের রান সেঞ্চুরির কাছাকাছি নিয়ে যান।

৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া জয় সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারে দুটি ডট ও আগের ওভারে দুটি ডট খেলায় শেষটা মনমতো রাঙাতে পারেননি। বল হাতে নাসুম আহমেদ ১০ রানে ২ উইকেট নিয়ে গাজী গ্রুপের সেরা বোলার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মহিউদ্দিন তারেক, মুকিদুল ইসলাম, মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ।

লক্ষ্য তাড়ায় গাজী গ্রুপকে ঝড়ো শুরু এনে দেন মেহেদী। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে করেন ২২ রান। ছক্কা উড়ান কভারের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও মুমিনুল ৬৫ রানের জুটি গড়েন। তাতে গাজী গ্রুপ জয়ের ভিত পেয়ে যায়। তবে তারা কেউই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। সৌম্য ৩৫ বলে ৩৭ করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। মুমিনুল ৩৪ বলে করেন ২৭ রান। শেষে ১৮ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইয়াসির আলী।

বল হাতে রাকিবুল হাসান ২১ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন হামিদুল ইসলাম ও আলিস আল ইসলাম।