খেলাধুলা

গলফ কোর্সে কিউই ক্রিকেটাররা, বায়ো-বাবল নিয়ে ভারতের প্রশ্ন

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও হতে যাচ্ছে প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। আগামী ১৮ জুন সাউদাম্পটনে মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড ও ভারত। এই ম্যাচের আগে কঠোর বায়ো-বাবল প্রটোকল মেনে চলতে বলা হয়েছে দুই দলকে। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের পাঁচ ক্রিকেটারসহ ৬ জন হোটেল ছেড়ে নিকটস্থ গলফ কোর্সে যাওয়ায় আয়োজকদের করোনা বিধির ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত।

স্টেডিয়ামের কাছেই হোটেলে উঠেছেন বিরাট কোহলি ও তার দল। সঙ্গে আছে পরিবারও। বায়ো-বাবল প্রটোকল মেনে তাদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি এক তলা থেকে আরেক তলাতেও যাওয়া বারণ। অথচ নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে!

কয়েকটি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ক্রিকবাজের প্রতিবেদন, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, হেনরি নিকলস, মিচেল স্যান্টনার, ড্যারিল মিচেল ও ফিজিও টমি সিমসেক মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে গলফ কোর্সে যান। ভারতীয় টিম ম্যানেজার এ নিয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ করে, তাদের মনে হয়েছে নিউ জিল্যান্ড বায়ো-বাবল প্রটোকল ভেঙেছে।

গলফ কোর্স এইজেস বোলের সীমানার মধ্যে হলেও ভারতীয় দল দুই দলের জন্য দ্বৈতনীতিতে নাখোশ। দলের এক সদস্য বলেছেন, ‘খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যেন তারা হোটেলের এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে না যান। এটা চলবে মাঠে অনুশীলনে না নামা পর্যন্ত। অথচ নিউ জিল্যান্ডের ছয় জন আজ সকালে গলফ কোর্সে গেছে বলে জানতে পেরেছি।’

আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ধরনের বায়ো-বাবল প্রটোকল ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। ভারতেরও কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ। ক্রিকেটাররা চাইলে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াতে পারেন, খেলতে পারেন গলফও।

পুরো নিউ জিল্যান্ড দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টের সিরিজ খেলেছে, এ কারণে তারা ইসিবির বায়ো-বাবলের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তা শেষ হয়েছে সোমবার। গলফ কোর্সে যাওয়া নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের কারও কাছ থেকে কোনও বক্তব্য আসেনি। হ্যাম্পশায়ারের কাউন্টি প্রধান রড ব্র্যান্সগ্রোভ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না, ‘আজ আমি মাঠে ছিলাম না। আমি মনে করছি এটা সত্যি হতেও পারে। তাদের আলাদা হয়ে মাঠে খেলার অনুমোদন ছিল, যা দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।’

প্রটোকল অনুযায়ী ২৪ জনের ভারতীয় দল চূড়ান্ত করে নামিয়ে আনা হবে ১৫ জনে। যেমনটা করেছে নিউ জিল্যান্ড দল। বাদ পড়া খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে লন্ডনে। তারা চাইলে স্ট্যান্ড থেকে খেলা দেখতে পারেন, তবে ফাইনালে খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।