জাতীয় ক্রিকেট দলের বাইরে 'বাংলাদেশ টাইগার্স' নামে একটি নতুন ছায়া দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমের সামনে এই ঘোষণা দেন বোর্ড প্রধান।
নাজমুল বলেন, 'শ্যাডো জাতীয় দল। জাতীয় দলে যারা ডাক পাবে না, তারা এই দলের হয়ে খেলবে। জাতীয় দলের অনুশীলনের যে কোনও সুবিধা তারা পাবে। দলের বাইরে থেকে তারা কীভাবে নিজেদের তৈরি রাখবে, এই চিন্তা থেকে এই শ্যাডো জাতীয় দল তৈরি হয়েছে। এখানে হেড কোচের অধীনেই দেশীয় কোচরা সারা বছর এই ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করবেন।'
এই দল থেকেই মূলত জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাছাই করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দলটির কার্যক্রম নেই। এই দল সর্বশেষ লিস্ট ‘এ’ খেলেছে ২০১৮ সালে আর টি-টোয়েন্টি ও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে ২০১৯ সালে। তাই বিসিবি জাতীয় দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছায়া দল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া জাতীয় দলে যারা ডাক পান না, তাদের অনেকেই অনুশীলনের জন্য সুযোগ পান না। ছায়া দলে তাদের রেখে সবসময় অনুশীলনের সুযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
নাজমুলের ব্যাখ্যা, ‘জাতীয় দলে যারা খেলে, তারা যদি কোনও সিরিজে ডাক না পায়, তখন তারা অনুশীলন করার সুযোগ পায় না, আমাদের সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারে না। এটা তো একটা বড় সমস্যা। ওরা কোথায় অনুশীলন করবে? ওদের কারও যদি কোনও ঘাটতি থাকে, কেউ যদি দল থেকে বাদ পড়ে তাহলে সে শিখবে কোথায়? আমরা ঠিক করেছি, সারা বছর আমাদের এখানে অনুশীলন চলবে।’
প্রধান কোচের নির্দেশনা মতে স্থানীয় কোচরা ছায়া দল পর্যবেক্ষণ করবেন। জাতীয় দলের কোনও পজিশনের ক্রিকেটারের সমস্যা হলে, ছায়া দল থেকেই সেই ঘাটতি মেটানো হবে। বিসিবি সভাপতি বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে স্থানীয় কোচিং স্টাফ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রধান কোচের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে। এখন যেটা হয়, ধরুন ওপেনিংয়ে একজন খেলোয়াড় নেই। খেলবে না অথবা ইনজুরিতে বা কোনো কারণে নেই। তখন আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একেকজনকে দিয়ে চেষ্টা করি। আজ একে করি, কালকে ওকে করি। আমাদের যদি খেলোয়াড় প্রস্তুত থাকে তাহলে সমস্যা হবে না।‘
নাজমুল জানান, বিভিন্ন পজিশনের জন্য আলাদা আলাদা খেলোয়াড় তৈরি করা হবে। হেড কোচ নিজের চাহিদা জানাবেন। সেই অনুযায়ী খেলোয়াড়রা সারাবছর অনুশীলন করবে। যেন জাতীয় দলের যে কোনও সময়ের প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা যায়।