খেলাধুলা

মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর আকুতি সালমা-রুমানাদের

করোনা পরিস্থিতি সামলে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে খেলাধুলা। করোনা পরিস্থিতির পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ ও বেশ কয়েকটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টও আয়োজন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি দেশের নারী ক্রিকেটারদের। ফেরেনি নারী ক্রিকেটারদের ঘরোয়া খেলাধুলাও।

করোনার আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলেছেন সালমা-জাহানারারা। এরপর মাসখানেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলের সঙ্গে একটি সিরিজ খেললেও সেটি আন্তর্জাতিক সিরিজ ছিল না। ১৫ মাসেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে দূরে নারী ক্রিকেটাররা। তাই দ্রুত মাঠে ফিরতে চান নারী ক্রিকেটাররা। ঘরে অলস সময় কাটালে দেশের নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা। দেশের নারী ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটের দুই অধিনায়ক সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদ রাইজিংবিডির সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন মাঠে ফিরতে মুখিয়েন তারা।

নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা বর্তমানে ঢাকায় আছেন। বাসার পাশের মাঠে গিয়ে রানিংসহ ফিটনেসের অন্য কাজগুলো করছেন। তবে এতে তার মন ভরছে না। তিনি বলেন, ‘এভাবে বসে থাকলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। বিসিবি যদি ক্যাম্প বা খেলার আয়োজন করতে পারে তবে অবশ্যই ভালো হতো। বায়ো-বাবলের মধ্যে হলেও অন্ততপক্ষে ঘরোয়া লিগ আয়োজন করলে ভালো হতো আমাদের জন্য।

কবে নাগাদ আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া লিগ ফিরবে এটা নিয়ে কোনও ধারণাই নেই রুমানার। বিসিবি থেকে এমন কিছু তাদের জানানোও হয়নি। তবে তাদের ফিটনেস বা অন্য কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয় বলে জানান রুমানা।

নারী ক্রিকেটের আরেক অধিনায়ক সালমার কাছেও কোনও খবর নেই কবে ফিরবে মাঠের খেলা কিংবা ক্যাম্প। তিনি খুলনায় নিজের বাড়িতে। সেখান থেকেই শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আসেন প্রতিদিন ফিটনেসের কাজ করতে। খেলা মাঠে ফিরলে ভালো হতো বলে মনে করেন তিনিও। তবে কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিসিবির এগোনো উচিত বলে মনে করেন তিনি। সালমা বলেন, ‘খেলা তো শুরু করতে পারলে ভালোই হতো, কিন্তু বিসিবি কীভাবে করবে, চারিদিকে যেভাবে বাড়ছে করোনা। আশা করি বিসিবি সব মিলিয়ে কিছু একটা উদ্যোগ নিবে।’

এক সময় নারী ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকা নাজমুল আবেদীন ফাহিমও মনে করেন মেয়েদের মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘ওদের মাঠে ফেরাতে দেরি হলে ওদের কিছুটা তো ক্ষতি হবেই, এটাই স্বাভাবিক। বিষয়টা হচ্ছে, এখন আয়োজন করাটাও তো কঠিন বোর্ডের জন্য। সব খেলোয়াড় না হোক, অন্তত এলিট খেলোয়াড়দের নিয়ে হলেও মাঠে ফেরানো উচিত। তাতে করে পরে যখন ওরা শুরু করবে, তখন যেন অনেক পিছিয়ে পড়ে শুরু না করতে হয়।’