খেলাধুলা

ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড লড়াইয়ের ঝাঁজ

কয়েক মাস ধরে ইংলিশ ও স্কটিশ ফুটবল ভক্তদের ‘ওয়াচ লিস্টে’ রয়েছে এই সূচি। পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন করে ফিরছে ওয়েম্বলিতে। শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড।

নভেম্বরে প্লে অফ জিতে স্কটল্যান্ড ইউরোতে জায়গা নিশ্চিত করার পর থেকে প্রাচীণ এই আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করছিল দুই দেশের ফুটবল সমর্থকরা। তাদের আশা জলে যায়নি। ১৯৯৬ সালের ইউরোর পর আরও একবার বড় টুর্নামেন্টে দেখা হচ্ছে তাদের।

ইংল্যান্ড হয়তো শেষ ৯ বারের দেখায় সাতটিই জিতেছে। কিন্তু ২০১৭ সালের জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হ্যাম্পডেন পার্কের ২-২ গোলের ড্র প্রমাণ করেছে, দুই দলের লড়াই কোন দিকে গড়াতে যাচ্ছে তা আগেই অনুমান করা যাবে না। লেইঘ গ্রিফিথের ফ্রি কিক থেকে দুই গোলের পর হ্যারি কেইন নাটকীয়ভাবে পয়েন্ট উদ্ধার করে দেন।

দুই দলের ম্যাচ যে কতটা ঝাঁজ ছড়ায়, তার আরেকটি উদাহরণ বড় টুর্নামেন্টে তাদের আগের একমাত্র ম্যাচ। ১৯৯৬ সালে পুরোনো ওয়েম্বলিতে গ্রুপ ম্যাচে গ্যারি ম্যাকঅ্যালিস্টারের সুযোগ ছিল স্কটল্যান্ডকে সমতায় ফেরানোর। কিন্তু দুটি মুহূর্ত খেলা ঘুরিয়ে দেয়। ডেভিড সিম্যানের পেনাল্টি সেভ ও পল গ্যাসকোইগনের লিজেন্ডারি গোল। ২-০ তে ম্যাচটি জেতে ইংলিশরা। একই উত্তেজনা দেখতে চায় ওয়েম্বলির সাড়ে ২২ হাজার দর্শক।

প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষে স্কটল্যান্ড এখনও পয়েন্ট পায়নি। স্টিভ ক্লার্কের দল চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে দারুণ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু প্যাট্রিক শিকের জোড়া গোল তাদের হারের হতাশায় ডোবায়। আর ইংল্যান্ড ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উজ্জীবিত পারফরম্যান্স দিয়ে ১-০ গোলে জেতে।

ওয়েম্বলিতে এই ম্যাচটি জিতলে ইংল্যান্ড চলে যাবে নকআউট পর্বে। দিনের আরেক ম্যাচে যদি ক্রোয়েশিয়া চেকদের হারাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইংলিশদের গ্রুপের শীর্ষ দুটি স্থানও নিশ্চিত হয়ে যাবে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলে প্রথমবার বড় টুর্নামেন্টের নকআউটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। তবে তারা যদি হেরে যায় এবং ক্রোটরা চেকদের হারাতে ব্যর্থ হয় তাহলে প্রথম দুটি স্থান তাদের হাতছাড়া হবে। তাই স্কটিশদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।

তাই চেকদের বিপক্ষে ছয়টি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়া স্কটিশ তারকা অ্যান্ড্রু রবার্টসনকে এবার বেশ সতর্ক থাকতে হবে। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড ফেরাতে পারে হ্যারি ম্যাগুইরেকে। গোড়ালির চোট নিয়ে মে থেকে মাঠের বাইরে তিনি।

বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বাঁচা-মরার লড়াই। গতবার ইউরোর শেষ ষোলোতে পর্তুগালের কাছে হেরে বিদায় নেওয়া ক্রোটরা জিতলে নকআউটে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে পারবে। নয়তো শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন হিসাব নিকাশ করতে হবে তাদের।

একই দিন আরেক ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে লড়বে সুইডেন। স্পেনকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়ে আত্মবিশ্বাসী সুইডিশরা। আর শক্তিশালী পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো শুরু করা স্লোভাকিয়াও এগিয়ে থাকছে। গতবার প্রথম ইউরো খেলতে নেমে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল তারা। সুইডেনকে হারাতে পারলে টানা দ্বিতীয়বার একই সাফল্য পাবে স্লোভাকরা। কিন্তু তাদের ক্যাম্পে করোনা থাবা বসিয়েছে। ডিফেন্ডার ডেনিস ভাভরো ও একজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আজকের খেলা

সুইডেন-স্লোভাকিয়া, সন্ধ্যা ৭টা

ক্রোয়েশিয়া-চেক রিপাবলিক, রাত ১০টা

ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড, রাত ১টা