খেলাধুলা

ঝড় তুলে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট’ সোহান

ডিপ মিড উইকেটে দারুণ চারে কামরুল ইসলাম রাব্বির করা ১৯তম ওভার শুরু করেন নুরুল হসান সোহান। পরের বলে ওয়াইড লং অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে আসেন নন-স্ট্রাইকে। তবুও আউট হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেওয়া সোহানের ভাগ্য সহায় হয়নি। এনামুল হকের শট পা দিয়ে সরিয়ে সাজঘরে ফিরলেন ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট’ হয়ে।

সোমবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামে সোহানের শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও ফরহাদ রেজার  প্রাইম দোলে-শ্বর। সোহানের ২৪ বলে ৪২ রানের ঝড়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে শেখ জামাল।

জামালের অধিনায়কের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়ে। অপর প্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল তখন সোহান সাহসী ব্যাটিং করে লড়ছিলেন একাই। মাঠে চারপাশে দারুণ সব শটে খেলার নাটাই নিজের হাতে রাখছিলেন সোহান একাই। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট’  হলেন সোহান।

নন স্ট্রাইক প্রান্তে থেকে এনামুল হকের শট সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পা দিয়ে সরিয়ে দেন শেখ জামাল অধিনায়ক। পরে টিভি-রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন আউটের। এর আগে একই কাণ্ড ঘটিয়ে আউট হয়েছিলেন মোহামেডানের  ইয়াসিন আরাফাত মিশু।

৭০ বছর আগে থেকে এ নিয়ম চালু আছে ক্রিকেটে। ক্রিকেট রুলবুকের ‘৩৭’ নম্বর নিয়মে স্পষ্ট বলা আছে, রান নেওয়ার সময় ব্যাটসম্যান যদি কোনও ফিল্ডারকে বল ছুড়তে ইচ্ছাকৃত বাধা দিলে বা বলের দিক পাল্টে দিলে কিংবা নিজে দিক পাল্টে বলের উপর চলে আসলে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেছে ১১ বার। ওয়ানডেতেই হয়েছে ৮ বার। টেস্টে একবার। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে তিনবার। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ ঘটনা বিরল। ইয়াসিনের পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজের নাম এতে যুক্ত করে নিলেন।

সোহান আউটের পর থেমে যায় রানের চাকাও। এ ছাড়া ইমরুল কায়েস ২৮ বলে ২৭ ও ১৫ বলে ১৩ রান করেন এনামুল হক। ১১ ওভারে মাত্র ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন দল ধুঁকছিল তখন ক্রিজে আসেন সোহান। আউট হন ইনিংসের ১৯তম ওভারে।

প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রেজাউর রহমান। ২টি উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম।