খেলাধুলা

অবিশ্বাস্য মেসি, ইকুয়েডরকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। চলছে যোগ করা সময়ের খেলা। ২ মিনিট না পেরোতেই ডি বক্সের মাথায় ডি মারিয়াকে ফাউল করে বসেন ইউকুয়েডের সেন্টারব্যাক পিয়েরো হিনকাপি। ফ্রি-কিক থেকে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে অসাধারণ শটে গোল দিয়ে উল্লাসে ভাসান লিওনেল মেসি।

রোববার (৪ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে ইউকুয়েডরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের এই জয়টি ছিল এমন মেসিময়। দুটি গোলে সহায়তার সঙ্গে নিজে করেছেন ১টি গোল।

প্রথমার্ধের শেষে মেসির সহায়তায় ইকুয়েডের জালে প্রথমবারের মতো বল জড়ান রদ্রিগো ডি পল। আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষে ব্যবধান দিগুণ করেন লৌতারো মার্টিনেজ।  যোগ করা সময়ে মেসি নিজেই আসেন ত্রাতা হয়ে। দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে গোলের দেখা পান এবার নিজেই। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে মেসির হাতে।

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা লড়বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। দিনের প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে কলম্বিয়া।  ৭ জুলাই সকাল ৭টায় দুই দল মুখোমুখি হবে।

প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে গোলের দেখা পেতে পারতেন মেসি। মাঝ মাঠ থেকে বল আসে তার পায়ে। একটু এগিয়ে ঢুকে পড়লেন ডি বক্সে। শুধু গোলরক্ষককে পেয়েও বল জড়াতে পারেননি। আসলে ভাগ্য সহায় হয়নি। মেসির কোনাকুনি শট আগে লাগে বাঁ দিকের গোলবারে।

১৮ মিনিট পরেই মেসির সহায়তায় গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের একটু সামনে ডান দিন থেকে বল বাড়ান ডি বক্সের ভেতরে। বাঁ দিকে থেকে এগিয়ে এসে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতির পরেই ফিরে এসে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। বাঁ দিক থেকে ক্রস পেয়েছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। ঠিকভাবে বল স্পর্শ করতে পারলেই গোল; কিন্তু পারেননি তিনি।

শেষ দিকে ৮৪ মিনিটের সময় নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে ইকুয়েডর। রক্ষণভাগে লাপসে বল হারান ডি মারিয়ার ট্যাকলে। পরে মেসি এসে বল নিয়ে নেন নিজের দখলে। একটু সামনে যেয়েই ডান দিকে ঠেলে দেন মেসি; লৌতারোর অপ্রতিরোধ্য শট বল জড়ায় জালে।

প্রথম দুটি গোল এসেছে মেসির বাড়ানো বল থেকেই। এবার তার পালা। ডি মারিয়াকে ফাউল করে হিনকাপি দেখেন লাল কার্ড। আর মেসির নিখুঁত ফি-কক লক্ষ্যভেদ করে ইকুয়েডরের জালে।

বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে পিছিয়ে ছিল ইকুয়েডর। ম্যাচের ৫৪ শতাংশ সময় বল ছিল ইকুয়েডরের পায়ে। তবে আর্জেন্টিনার ২৯টি শটের বিনিময়ে মাত্র ১২টি শট নিতে পেরেছে ইকুয়েডর।