ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়ার চ্যালেঞ্জটা ছুড়ে দিয়েছেন গ্যারেথ সাউথগেট নিজে। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে আর একটি জয় দরকার তাদের।
বুধবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় ওয়েম্বলির ৬০ হাজার দর্শকের সামনে ডেনিশদের মোকাবিলা করবে ইংল্যান্ড। পুরো টুর্নামেন্টে তারা কেবল একটি ম্যাচ নিজেদের মাঠের বাইরে খেলেছে, রোমের কোয়ার্টার ফাইনালে। যে ম্যাচে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে তারা।
সাউথগেট বলেছেন, ‘আমাদের ততটা ভালো ফুটবল ইতিহাস নেই, তবে আমরা বিশ্বাস করি কখনও আসবে। এই খেলোয়াড়রা সেই দৃঢ় ইচ্ছা মনে রোপণ করেছে।’
শেষবার ইংল্যান্ড বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ৫৫ বছর আগে, যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। তারপর থেকে ইউরোর সেমিফাইনাল বাদে আর বেশিদূর যেতে পারেনি বড় মঞ্চে। তবে এবার ঘরের মাঠে খেলে সেই আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছে থ্রি লায়নরা। বিশ্বাস এবার ঘরে আসছে ট্রফি।
সেই বিশ্বাস থেকে রোববারের ফাইনাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পতাকা গাড়ি ও বাড়িতে লাগানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাবগুলোও অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট খোলা রাখতে পারবে, কারণ ম্যাচ গড়াতে পারে অতিরিক্ত সময়ে ও টাইব্রেকারে।
এখন সাউথগেটের একটাই আশা ১৯৯২ সালের ইউরো জয়ী ডেনমার্কের বিপক্ষে চাপ মোকাবিলা করতে পারবে।
দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের এই স্বপ্ন ভেঙে দিতে যেন প্রস্তুত ফিনল্যান্ড ও বেলজিয়ামের কাছে হেরে ইউরো শুরু করা ডেনমার্ক। এরই মধ্যে তারাও ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত রেখেছে। প্রথম ম্যাচে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়া ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন ও তাকে বাঁচানো স্বাস্থ্যকর্মীদের আমন্ত্রণ করেছে ডেনিশ ফুটবল। গোলকিপার ক্যাস্পার শুমেইখেলও দিয়ে রাখলেন হুমকি, ‘এটা কি কখনও বাড়িতে এসেছিল? আমি জানি না। আপনারা কি কখনও এটা জিতেছেন?’