খেলাধুলা

দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়

জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানে হারিয়ে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি জিতে নিলো বাংলাদেশ। দেশের বাইরে রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এ জয়ে প্রথমবার জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ৪৭৭ রানের টার্গেটে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২৫৬ রানে।

হারারেতে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৪৬৮ রান তোলে। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৭৬ রানে। ১৯২ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের ইতিহাস গড়তে হতো। কিন্তু স্বাগতিকরা শেষ দিন ভালো লড়াই করলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি।

জয়ের জন্য শেষ দিনে ৭ উইকেট দরকার ছিল বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৪ উইকেট। জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালো হলেও তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিংয়ে মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারায় স্বাগতিকরা। বিরতির আগে-পরে আবার জিম্বাবুয়ের লেজের ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়ে। কিন্তু দুই পেসার তাসকিন ও ইবাদতের বোলিং সাফল্যে বাংলাদেশের জয় আটকাতে পারেননি তারা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা। মিরাজের লোভনীয় বল উড়াতে গিয়ে বোল্ড হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মিরাজ ও তাসকিন ৪টি করে উইকেট পেয়েছেন। সাকিব ও ইবাদত পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

তবে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য এত সময় অপেক্ষা করতে হতো না। মিরাজের বলে স্লিপে সাকিব দুটি, তাসকিন ফিরতি ক্যাচ ছাড়েন। তাতে জয়ের প্রহর লম্বা হয় বাংলাদেশের। তাতে সমস্যা হয়নি। দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে হারারেতেই ২০১৩ সালে ১৪৩ রানে জিতেছিল দল। এবার জয়ের ব্যবধান আরও লম্বা হলো। 

দেশের বাইরে বড় জয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ে ৯ উইকেট নিয়ে দেশের বাইরে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছেন মিরাজ। ম্যাচে ১৪৮ রানে ৯ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এর আগে রবিউল ইসলাম শিপলু ১৫৫ রানে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন। সেটাও বাংলাদেশের সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে।   

ব্যাট বলের দারুণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ অনায়াসে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বাকি সবকিছুই ছিল পিকচার পারফেক্ট।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের বিদায়ী ম্যাচে ১৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন। নিজের ফেরাটা যেমন রাঙিয়েছেন তিনি। ঠিক সেভাবেই বিদায় রাঙালেন।