খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহর অবসর, ড্রেসিংরুমে কী হয়েছিল জানালেন সাদমান

‘আমরা তো অবশ্যই জানতাম না এটা উনার শেষ ম্যাচ। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) হুট করে ড্রেসিং রুমে আমাদের জানিয়েছে, এটা উনার শেষ টেস্ট। এরপরই সবাই চিন্তা করেছি যে ম্যাচটা রিয়াদ ভাইয়ের জন্য খেলব। সবার ইচ্ছে ছিল শেষ মুহূর্তটা ওনাকে উৎসর্গ করব। আমরা সেভাবেই করছি।’ – মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসর নিয়ে এভাবেই মন্তব্য করছিলেন সাদমান ইসলাম।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টর তৃতীয় দিনের সকালে মাহমুদউল্লাহ ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের জানান, এই টেস্টের পর সাদা জার্সি তুলে রাখবেন। সেদিনের ম্যাচ শেষে তার অবসরের সিদ্ধান্তের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানাননি তিনি। বিসিবি থেকেও আসেনি কোনো ঘোষণা। ম্যাচের পঞ্চম দিন সকালে মাহমুদউল্লাহকে গার্ড অব অনার দেন সতীর্থরা। বিসিবি বলছে, এ আনুষ্ঠানিকতাও তাদেরকে না জানিয়ে হয়েছে।

অবসরের সিদ্ধান্ত জানার পর ড্রেসিংরুমের অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কেউই বিশ্বাস করতে পারছিল না। দলের প্রত্যেক আলোচনা করে পণ করে, যে করেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী টেস্টে জয় উপহার দিতে হবে। যেই বলা সেই কাজ। হারারে টেস্ট জিতে বাংলাদেশ প্রথমবার জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে নয়।

সাদমান বলেন, ‘আমরা জানতাম না যে রিয়াদ ভাই এমন কিছু বলবেন। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে উনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে।’

ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে মাহমুদউল্লাহ দলে ফেরেন ১৬ মাস পর। ফিরেই ১৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন। শেষটা রাঙালেও তার ক্যারিয়ার অনেকটাই বিবর্ণ। ৫০ ম্যাচে ৯৪ ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর রান ২৯১৪। ৩৩.৪৯ গড়ে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৬ হাফসেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে। এছাড়া ৬৬ ইনিংসে বোলিং করে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন। সতীর্থর বিদায়ে সাদমানের মন পুড়ছে। তবে তার অবদানে বেশ গর্বিত,‘আমাদের দলের জন্য তিনি যা করে গিয়েছেন তাই ওনার কারণে সবাই একটু মন খারাপ করেছিলাম।’